ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

নাগরিকের মতের প্রতিফলনেই সরকার পরিচালিত হওয়া উচিত: তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৫, ০৮:১৩ রাত  

ছবি: সংগৃহিত

সরকার পরিচালনার জন্য নাগরিকের মতামত ও অধিকারকে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, "সরকারে যারা থাকুক না কেন, যদি তারা জনগণের কথা না শোনে, তবে সেই সরকার জনগণের নয়।"

বুধবার (৩০ জুলাই) ঢাকার আশুলিয়ায় বিএনপি আয়োজিত ‘নারকীয় জুলাই’ শীর্ষক এক প্রতিবাদ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, “দেশের জনগণ গত দেড় দশক ধরে কয়েকজনের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার জন্য আন্দোলন করেনি, বরং তারা নিজেদের রাষ্ট্রীয় অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন। জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান ছিল সেই জনগণের রক্তাক্ত প্রতিরোধ।”

তিনি বলেন, “নির্বাচন হলো নাগরিকের রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগের প্রধানতম মাধ্যম। প্রতিটি স্তরে—হোক তা স্থানীয় সরকার কিংবা জাতীয় সংসদ—নাগরিকদের সরাসরি ভোটের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। তবেই রাষ্ট্রে জনগণের ইচ্ছা প্রতিফলিত হবে এবং স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হবে।”

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ওই সময় সবচেয়ে নির্মমতা চালানো হয়েছিল শ্রমজীবী মানুষের ওপর। আশুলিয়া-সাভার এলাকায় পোশাকশ্রমিকদের ওপর পরিকল্পিত গণহত্যা চালানো হয়, এমনকি লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। এই নির্মমতা কারবালাকেও হার মানায়।”

তিনি আরও বলেন, “গত বছরের জুলাইয়ে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সেটি ছিল নিছক কোনো চাকরি বা সুবিধার দাবি নয়। ভ্যানচালক, রিকশাচালক, রেস্তোরাঁকর্মী, পোশাকশ্রমিক—তাদের কেউই সরাসরি কোনো লাভের আশায় রাস্তায় নামেননি। তারা বুঝেছিলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে থাকলে কারও ন্যায্য অধিকার আদায় সম্ভব নয়। গণতন্ত্র ও ন্যায্যতার প্রশ্নেই তারা রাজপথে নেমেছিলেন।”

তারেক রহমান শেষমেশ বলেন, “যদি সরকার ও রাজনীতি সত্যিকার অর্থে জনগণের মুখাপেক্ষী হয়, তবে দেশ ও গণতন্ত্রে গুণগত পরিবর্তন আনা সম্ভব। জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত হলেই একটি প্রকৃত জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব।”

বাংলাধারা/এসআর