যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ নেই বোয়িং বিক্রিতে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
প্রকাশিত: আগস্ট ০২, ২০২৫, ১১:৪৬ রাত

ছবি: সংগৃহিত
বাংলাদেশের ২৫টি বোয়িং উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাবকে গুরুত্ব দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। এমনটাই জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। তিনি বলেন, বাণিজ্য আলোচনার সময় যুক্তরাষ্ট্র একবারের জন্যও এই বিষয়টি আলোচনা করেনি।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজার সঙ্গে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন তিনি। শুক্রবার (১ আগস্ট) গোলাম মোর্তোজা তার ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড পেজে ভিডিওটি প্রকাশ করেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “আকাশপথে যে যাত্রীচাপ রয়েছে, সেখানে ২৫টি উড়োজাহাজ কিছুই না। সক্ষমতা না বাড়ালে শুধু উড়োজাহাজ কেনায় কোনো লাভ নেই। এ কারণে বিমান পরিচালনায় আইন ও বিধিমালায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।”
তিনি জানান, দেশের বিমান খাতে নৈরাজ্য বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশেষ করে টিকিট ব্যবস্থাপনায় সুশৃঙ্খলতা আনতে কাজ করছে সরকার।
‘নন-ডিসক্লোজার’ চুক্তি নিয়ে বিতর্ক
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত বাণিজ্য চুক্তিকে ‘নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। অর্থাৎ, চুক্তির বিষয়বস্তু প্রকাশ করা যাবে না। এ নিয়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।
এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশ কোনো দেশবিরোধী চুক্তি করছে না। আলোচনার মাধ্যমে যেসব বিষয় সম্ভাব্যভাবে দেশের স্বার্থবিরোধী হতে পারত, সেগুলো দূর করা হয়েছে। সম্মতির ভিত্তিতেই পরে বিস্তারিত জানানো হবে।”
শুল্ক হ্রাস ও কৃষিপণ্য আমদানির পরিকল্পনা
শেখ বশির উদ্দিন জানান, পাল্টা শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে এ নিয়ে আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। দেশীয় শিল্প ও রপ্তানি সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, “আমরা প্রতিবছর ১৫ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলারের খাদ্যপণ্য আমদানি করি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতিযোগিতামূলক দামে কৃষিপণ্য আনতে পারলে ভোক্তারা উপকৃত হবেন, বাজার স্থিতিশীল থাকবে। সরকার দুই বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্য আমদানির পরিকল্পনা করছে, যা বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সহায়ক হবে।”
বাণিজ্য ও অর্থনীতির ভারসাম্য রক্ষায় সরকার গঠনমূলক চুক্তি ও কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা।
বাংলাধারা/এসআর