পোশাক নিয়ে কাউকে হেয় করা চলবে না: ভিপি সাদিক কায়েম
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫, ১০:৩৪ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ইসলামী ছাত্র শিবির সমর্থিত প্যানেল প্রায় নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এটাই তাদের প্রথম বড় সাফল্য। ভোটের ফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিজয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর ব্যবধান কয়েক হাজারেরও বেশি।
এই জয়ের পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতা সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা, নারীদের পোশাক নিয়ে বিতর্ক এবং কট্টর ইসলামিক ধ্যানধারণার প্রভাব বিস্তারের শঙ্কা। তবে এসব জল্পনা-আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে ডাকসুর নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি মাল্টিকালচারাল প্রতিষ্ঠান, এখানে কারো স্বাধীনতা সীমিত করার কোনো সুযোগ নেই। হিজাব পরা শিক্ষার্থীর যেমন অধিকার আছে, তেমনি আধুনিক পোশাক পরা শিক্ষার্থীরও সমান অধিকার আছে। পোশাক বা ব্যক্তিগত পরিচয় নিয়ে কাউকে হেয় করা কিংবা কোনো প্রতীককে অপরাধী করার সুযোগ থাকবে না।
সাদিক কায়েম দাবি করেন, নারীরা তাদের কাঙ্ক্ষিত নেতৃত্ব এই প্যানেলের মধ্যেই খুঁজে পেয়েছেন। তিনি বলেন, নারীরা আমাদের ওপর আস্থা রেখেছেন, কারণ তারা বিশ্বাস করেছেন, তাদের নেতৃত্ব, নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করব। ডাকসু নির্বাচন আমাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে চালানো প্রপাগান্ডাকে ভেঙে দিয়েছে। আমরা শুধু মুখের কথা বলিনি, বরং গত এক বছরে নারীদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিয়ে বাস্তব কাজ করে দেখিয়েছি। নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তোলা পর্যন্ত আমরা থামব না, এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
ইশতেহারে নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে একাধিক দাবি তোলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসেবা ও আবাসন সমস্যার সমাধানে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এবং খুব শিগগিরই এগুলোর বাস্তবায়ন শুরু হবে। সবশেষে তিনি পরিষ্কার করে বলেন, তাদের লক্ষ্য বিভাজন নয়, বরং সব শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ানো। যে কোনো হলের শিক্ষার্থী সমস্যায় পড়লে তারা পাশে থাকবেন। তার ভাষায়, আমাদের পরিচয় একটাই,আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। কাজের মাধ্যমেই আমরা সবার আস্থা অর্জন করতে চাই।
বাংলাধারা/এসআর