নভেম্বরে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৫, ০৯:৫৫ রাত
ছবি: সংগৃহিত
আগামী নভেম্বরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরছেন। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) গুলশানে নিজ বাসায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত। এরই মধ্যে দল পুনর্গঠন ও নির্বাচনী প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছে।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, চলতি অক্টোবর মাসের মধ্যেই ২০০টি আসনে বিএনপির একক প্রার্থীকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেওয়া হবে, যাতে প্রার্থীরা আগেভাগেই মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করতে পারেন।
তিনি আরও জানান, বিএনপি বর্তমানে একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এ বিষয়ে **জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)**সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। তবে জোট হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি বেশ কিছু পরিবর্তনের সঙ্গে একমত ছিল। তবে ২০/১ উপধারায় বলা হয়েছে, জোটবদ্ধ দলগুলো অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে না। এই ধারা ছোট দলগুলোকে নিরুৎসাহিত করবে, যা বহুদলীয় রাজনীতির পরিপন্থী।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “একতরফাভাবে এ ধরনের আরপিও কেন পাস করা হলো?”
সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আইনটি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি এ বিষয়ে সরকারকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেবে।
দলীয় সূত্র জানায়, দেশে ফেরার পর তারেক রহমান গুলশান-২ এর অ্যাভিনিউ রোডের ১৯৬ নম্বর বাড়িতে থাকবেন। ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তৎকালীন সরকার বাড়িটি তাঁর স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বরাদ্দ দেয়।
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার বাড়িটির নামজারি সম্পন্ন করে এবং খালেদা জিয়ার হাতে কাগজপত্র হস্তান্তর করে। বাড়িটির ঠিক পাশেই খালেদা জিয়ার স্থায়ী বাসভবন ‘ফিরোজা’।
জানা গেছে, ১৯৬ নম্বর বাড়িটি আগে ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানির কাছে ভাড়া দেওয়া ছিল। প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরের শুরুতে বাড়িটি ছেড়ে দিয়েছে। বর্তমানে বাড়িতে রং করা ও সংস্কারের কাজ চলছে।
দলীয় নেতারা আশা করছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা বিএনপির রাজনীতিতে নতুন গতি ও উদ্দীপনা আনবে এবং নির্বাচনের আগে সংগঠনকে আরও সক্রিয় করবে।
বাংলাধারা/এসআর
