সব দলকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের

আগামী জাতীয় নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের স্বার্থে মতপার্থক্য দূরে রেখে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা জরুরি।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) শিল্পকলা একাডেমিতে দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, “২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হয়েছে। আমরা সংস্কার সনদে স্বাক্ষরিত দলগুলোর ঐক্যের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করতে চাই। গণতন্ত্র রক্ষায় সবাইকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “ছোটখাটো মতবিরোধ ভুলে দেশের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য অটুট রাখতে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন। কারণ গণতন্ত্র মানে অংশগ্রহণ, এবং সেই অংশগ্রহণের মাধ্যমেই জনগণের মতামত প্রতিফলিত হয়।”

বক্তব্যে মির্জা ফখরুল অতীতের রাজনৈতিক ইতিহাসের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “১৯৭৫ সালে বাকশাল শাসনামলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তখন অনেক সাংবাদিক চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েন, কেউ কেউ রাস্তায় হকারি পর্যন্ত করেছেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই পরে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন এবং দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।”

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট শাসনের সময় বিএনপির প্রায় ৬০ লাখ কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল, ২০ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে এবং বহুজনকে গুম করা হয়েছে। তবুও এই দেশের মানুষ এখনো একটি স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও সার্বভৌম বাংলাদেশ চায় , যে বাংলাদেশ জনগণের ইচ্ছায় পরিচালিত হবে, কোনো বিদেশি শক্তির প্রভাবমুক্ত থাকবে।”

তিনি বলেন, বিএনপি সেই জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে চায়, যেখানে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারই হবে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল ভিত্তি।

বাংলাধারা/এসআর