দাম না কমলে চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে
প্রকাশিত: নভেম্বর ০৯, ২০২৫, ০৩:৫১ দুপুর
ছবি: সংগৃহিত
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে যদি বাজারে পেঁয়াজের দাম কম না হয়, তবে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে।
রবিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে না এলে আমদানির প্রক্রিয়া শুরু হবে। আমাদের লক্ষ্য ভোক্তাদের জন্য যৌক্তিক মূল্য নিশ্চিত করা।’
এ সময়ে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১১০–১১৫ টাকায়, যেখানে গত সপ্তাহে দাম ছিল ৭০–১৩০ টাকার মধ্যে। ক্রেতারা সিন্ডিকেট ও বাজার তদারকির অভাবকে দায়ী করছেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরে (২০২৫-২৬) জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশে পেঁয়াজ এসেছে ১৩ হাজার টন। এটি গত অর্থবছরের একই সময়ে আমদানিকৃত ২ লাখ ৪৬ হাজার টনের তুলনায় যথেষ্ট কম।
বাজার স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) সীমিত পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করার সুপারিশ করেছে। কমিশন জানাচ্ছে, প্রতি বছর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়, এবং এ বছরও সেই ধারা বজায় রয়েছে।
বিটিটিসির চেয়ারম্যান মইনুল খান বলেন, ‘কিছু মধ্যস্বত্বভোগী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বৃদ্ধি করছে। এই সময়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম সাধারণত ৯০ টাকার মধ্যে থাকা উচিত, অথচ এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকার ওপরে। পার্শ্ববর্তী দেশে দাম প্রায় ৩০ টাকার মধ্যে। সীমিত আমদানির অনুমতি দিলে বাজারে সরবরাহ বাড়বে, মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব কমবে এবং ভোক্তারা ন্যায্য মূল্যে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।’
কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেঁয়াজের উচ্চ দামের সুবিধা কৃষকরা পাচ্ছেন না; বরং মধ্যস্বত্বভোগীরা মূল সুবিধাভোগী। তাই দ্রুত আমদানির অনুমতি দিলে বাজারে ভারসাম্য ফিরে আসবে।
প্রসঙ্গত, গত অর্থবছরে দেশে ৪৪ লাখ ৪৮ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদন হলেও সংরক্ষণজনিত সমস্যা ও নষ্ট হওয়ার কারণে বাজারে এসেছে মাত্র ৩৩ লাখ টন। এছাড়া, চার লাখ ৮৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। বাংলাদেশের পেঁয়াজ আমদানি মূলত ভারত থেকে আসে, যা মোট আমদানির ৯৯ শতাংশ।
বাংলাধারা/এসআর
