থাইরয়েড রোগীদের যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলা জরুরি

গলার সামনে প্রজাপতি আকৃতির থাইরয়েড গ্রন্থি শরীরের বিপাকক্রিয়া, তাপমাত্রা, হার্ট রেট থেকে শুরু করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই গ্রন্থির হরমোনে সামান্য ওঠানামাও শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই থাইরয়েড সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ গ্রহণের পাশাপাশি কিছু খাবার বর্জন করা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওষুধের সঙ্গে নির্দিষ্ট কিছু খাবারের প্রতিক্রিয়া রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।

হেলথলাইন সূত্রে জেনে নিন কোন খাবারগুলো থাইরয়েড রোগীদের এড়িয়ে চলা উচিত-

সয়াবিন ও সয়াজাত পণ্য

গবেষণায় দেখা গেছে, সয়াবিন বা সয়া দুধ, টফুর মতো খাবার থাইরয়েডের ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে। তাই চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া এসব খাবার না খাওয়াই উত্তম।

ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার

ক্যালসিয়াম থাইরয়েড ওষুধের শোষণে বাধা দেয়। ফলে দুধ, দই, চিজসহ দুগ্ধজাত খাবার এবং ব্রোকলির মতো ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ সবজি ওষুধের সময়ের কাছাকাছি না খাওয়াই ভালো।

কফি

বহু গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে কফি থাইরয়েড ওষুধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে। তাই ওষুধ গ্রহণের ঘণ্টাখানেক আগে বা পরে কফি পান করা উচিত।

আয়রনযুক্ত খাবার

রেড মিট বা আয়রন সাপ্লিমেন্ট থাইরয়েড ওষুধের কার্যকারিতা কমাতে পারে। তাই আয়রনযুক্ত খাবার খেতে হলে ওষুধের সময়ের সঙ্গে যথেষ্ট ব্যবধান রাখা জরুরি।

অতি ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার

গোটা শস্য, ডাল, দানা শস্যের মতো খাবার অতিরিক্ত খেলে ওষুধের শোষণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তাই থাইরয়েডের রোগীদের ফাইবার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।

আঙুরের রস

আঙুরের রস ওষুধ শরীরে শোষিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে। তাই এটি সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলাই ভালো।

চিনি ও মিষ্টি খাবার

বাড়তি চিনি দেওয়া খাবার হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। তাই মিষ্টির পরিবর্তে পরিমিত পরিমাণে মধু বা গুড় ব্যবহার করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

দুগ্ধজাত খাবার ও উচ্চ কার্বোহাইড্রেট

দুধ, মাখন, চিজসহ দুগ্ধজাত খাবার হরমোনের ভারসাম্যে প্রভাব ফেলতে পারে। পাশাপাশি রান্না করা গাজর, পাকা কলা, শুকনা ফল, আলু, ময়দার রুটি, সাদা ভাত, পোস্ত, এগুলো শরীরে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা বাড়ায়, যা থাইরয়েড সমস্যা আরও জটিল করতে পারে।

সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ওষুধ সেবনের মাধ্যমেই থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাধারা/এসআর