হাইকোর্টের পাশে ড্রামে মিলল খণ্ডিত লাশ: বন্ধুর নামেই মামলা, তদন্তে পুলিশ
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২৫, ০১:২৫ দুপুর
ছবি: সংগৃহিত
হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠের গেটের কাছে ড্রাম থেকে খণ্ডিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার সকালে নিহত আশরাফুল হকের বোন আনজিনা বেগম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় আশরাফুলের বন্ধু জরেজ মিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। পাশাপাশি অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নীল রঙের একটি ড্রামের ভেতর থেকে টুকরো টুকরো অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পরিচয় পাওয়া না গেলেও পরে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশ্লেষণে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে নিহত ব্যক্তি মো. আশরাফুল (৪২)। তার গ্রামের বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জের গোপালপাড়ায়। বাবা মো. আব্দুর রশিদ ও মা মোছা. এছরা খাতুন।
শুক্রবার সকালে মরদেহ গ্রহণ করতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আসেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। তারা জানান, আশরাফুলের কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা ছিল না। তিন দিন আগে বন্ধু জরেজের সঙ্গে ঢাকায় আসেন তিনি। ঢাকায় আসার পর থেকেই তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম জানান, পেঁয়াজ ও আলুর আমদানিকারক ছিলেন আশরাফুল। ভারত ও মিয়ানমার থেকে পণ্য আনতে তার সরকারি লাইসেন্সও ছিল। মঙ্গলবার বাড়ি থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। বুধবার রাত ৯টা পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। এরপর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর বলেন, ড্রাম থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহ মোট ২৬টি খণ্ডে বিভক্ত ছিল। নিহতের বোনের করা মামলায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হলেও সন্দেহভাজন হিসেবে বন্ধু জরেজ মিয়ার নাম প্রধান আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ, কললিস্টসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের কাজ চলছে। খুব দ্রুতই হত্যাকাণ্ডের পেছনের রহস্য উদ্ঘাটন এবং জড়িতদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাধারা/এসআর
