আমার জীবর্দশায় এই পাড়ায় চলাফেরায় এমন ভয়াবহ পরিণতি আমরা কখনো দেখিনাই।
প্রকাশিত: আগস্ট ০২, ২০২৫, ০৫:২১ বিকাল

ফুলগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি: আমজাদ হাট ইউনিয়ন৩ নং ওয়ার্ডের নদীরকূল একটি আদর্শ এলাকা, এই এলাকার বেশিরভাগ লোকই শিক্ষিত এবং সামাজে প্রতিষ্ঠিত, প্রায় ২৫০০ জনের বসবাসের এলাকাটিতে জাতীয়ভাবে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৫০০ জন। একপাশে মুহুরি নদী ও অন্যপাশে হাওরের ন্যায় জলাশয় বিস্তৃত এ এলাকায় মানুষের চলাচলের জন্য মুলত ২টা সড়ক রয়েছে, একটি মুহুরী নদীর ব্রিজ থেকে দক্ষিন দিকে হাজী মুন্সি মিয়া সড়ক এবং অন্যটি উত্তর দিকে মাষ্টার আবুল খায়ের সাহেবের বাড়ির রাস্তা। উত্তর দিকের সড়কটিকে বেশ কয়েক বছর আগে পাকা হলেও দক্ষিণের হাজী মুন্সি মিয়া সড়কটিকে এখনো কাঁচা এবং অপরিপুর্ন। কিছু দিন আগে ইউনিয়ন পরিষদের সরকারী বরাদ্দে ২ লাখ টাকার একটি প্রকল্পে মুহুরী নদীর ব্রিজ থেকে দক্ষিণে হাজী মুন্সি মিয়া সড়কের মাটি ভরাটের কাজ করেন, এই প্রকল্প বরাদ্দের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগকে নদীরকুল বাসীদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানায়, কিন্তু অত্যান্ত দুখঃ ও পরিতাপের বিষয় হলো নিয়োগপ্রাপ্ত প্রকল্প কর্তাগণ নামকাওয়াস্তে কাজটি করার জন্যে বৃষ্টি চলাকালীন সময়ে তাড়াহুড়া করে কাজটি করতে কিছু মাটি দিয়ে দায় সারা কাজের মতো কাজটি সম্পন্ন করলেও বৃষ্টিতে রাস্তাটির অবস্থা এমনই ভয়াবহ খারাপ হয় এলাকার একজন মুরুব্বী মৃত্যুর পর উনার খাটিয়া নিয়ে কবরস্থান পর্যন্ত যেতে তার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা চরম কষ্টের সম্মুখীন হন শুধু তাই নয় সাধারণ মানুষ খালি গায়ে নিয়মিত চলা ফেরাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছেন। এলাকার মানুষ এ রাস্তাটা নিয়ে বলাবলি করতেছেন এই মাটির কাজে তাদের উপকার থেকে অপকারই বেশী হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে এখন মানুষের হাটা চলার অবস্থাও নাই। রাস্তা দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারছেনা এ এলাকার মানুষের কষ্টের কোনো সীমা নেই। একজন ভুক্তবোগী দেলোয়ার হোসেন তার সোসাল মিডিয়ায় লিখেন নদীর ভাঙ্গনে পাড়ের অবস্থা খারাপ হলেও আমাদের জীবর্দশায় এই পাড়ায় চলাফেরায় এমন ভয়াবহ পরিণতি আমরা কখনো দেখিনাই। আমরা নদীরকুল বাসী এ কাজের হিসেব নিয়ে সামগ্রিক তদন্তের জন্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানাচ্ছি। আমরা সাধারণ জনগন আমাদের ইউনিয়নকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত এবং জনবান্ধব একটা ইউনিয়ন প্রশাসন হিসাবে দেখতে চাই।