ঢাকা, শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২

সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে পর্তুগাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

 প্রকাশিত: আগস্ট ০২, ২০২৫, ০৯:৫৩ সকাল  

ছবি: সংগৃহিত

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সময় নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে পর্তুগাল। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দেশটির প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনেগ্রোর কার্যালয় থেকে দেওয়া এক সরকারি বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে পর্তুগিজ প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্টের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনের হাই-লেভেল সপ্তাহেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

গাজা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এই পদক্ষেপকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়ে পর্তুগাল ইসরায়েলের ওপর কূটনৈতিক চাপ বাড়াতে এবং দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান পুনরুজ্জীবিত করার পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে।

এর আগে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং কানাডাও ইঙ্গিত দিয়েছে, চলতি বছরের শরতের মধ্যেই তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবে। ফলে ইউরোপ ও পশ্চিমা জোটে এ নিয়ে সমন্বিত কূটনৈতিক তৎপরতা গড়ে উঠছে।

তবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির প্রশ্নে জার্মানি এখনই চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে নারাজ। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ভাডেফুল বলেন, "এই মুহূর্তে সরাসরি স্বীকৃতি দেওয়া উপযুক্ত নয়। তবে দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক আলোচনার প্রক্রিয়া এখনই শুরু হওয়া উচিত।"

তিনি আরও বলেন, আলোচনা ও সমঝোতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত দুই-রাষ্ট্র সমাধানই একমাত্র পথ, যা ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি, উভয় জনগণের জন্য শান্তি, নিরাপত্তা এবং মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করতে পারে। জার্মানির দৃষ্টিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি এই প্রক্রিয়ার শেষ ধাপে আসা উচিত।

এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরেক প্রভাবশালী সদস্য সুইডেন আহ্বান জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তি স্থগিত করতে। গাজার মানবিক বিপর্যয়কে সামনে এনে সুইডিশ কর্মকর্তারা এই দাবি জানিয়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার এই উদ্যোগ একদিকে যেমন মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা তৈরি করছে, তেমনি ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপও বাড়িয়ে তুলছে।

বাংলাধারা/এসআর