যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক চুক্তিকে ‘কূটনৈতিক বিজয়’ বললেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
প্রকাশিত: আগস্ট ০১, ২০২৫, ১১:১২ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক কমানোর বিষয়ে চুক্তিকে "বাংলাদেশের একটি কূটনৈতিক বিজয়" হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (১ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে ড. ইউনূস বলেন, “আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক হ্রাস সংক্রান্ত সফল আলোচনার মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা অভূতপূর্ব কৌশলগত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তারা প্রত্যাশিতের চেয়ে ১৭ পয়েন্ট কমিয়ে শুল্কহার ২০ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। এই অর্জন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা ও ভবিষ্যৎ উন্নয়নের অঙ্গীকারের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।”
তিনি আরও জানান, ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই আলোচনা দীর্ঘসময় ধরে শুল্ক, অ-শুল্ক এবং জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে অত্যন্ত জটিল ও সংবেদনশীল বিষয়াদি নিয়ে পরিচালিত হয়েছে। তবুও আলোচকরা দক্ষতার সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করে দেশের তুলনামূলক সুবিধা বজায় রাখতে পেরেছেন এবং বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে প্রবেশাধিকার আরও বিস্তৃত করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার ভাষায়, “এই সাফল্য শুধু আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের বাড়তে থাকা মর্যাদার স্বীকৃতি নয়, বরং এটি আমাদের সামনে আরও বড় পরিসরে উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। আমাদের ভবিষ্যৎ এখন আরও উজ্জ্বল।”
এদিকে, হোয়াইট হাউসের ঘোষণায় জানানো হয়েছে যে, আজ ১ আগস্ট থেকেই নতুন শুল্কহার কার্যকর হচ্ছে। ঘোষণায় বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যা অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় তুলনামূলকভাবে কম। ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ, কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ এবং মিয়ানমারের ওপর সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ সত্ত্বেও আমরা এখনও প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে রয়েছি। রপ্তানিতে বড় ধরনের কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। যদিও আমরা শুল্কহার আরও কম হওয়ার প্রত্যাশা করেছিলাম।”
চুক্তির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক কৌশলের পরিপক্বতা যেমন প্রকাশ পেয়েছে, তেমনি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় দেশের অবস্থানও আরও সুদৃঢ় হয়েছে, এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাধারা/এসআর