জুলাই সনদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির বিপক্ষে বিএনপি
প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৫, ০৯:৫১ সকাল

ছবি: সংগৃহিত
জুলাই জাতীয় সনদকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। দলটির মতে, এ ধরনের স্বীকৃতি ভবিষ্যতে রাজনৈতিক জটিলতা তৈরি করতে পারে। সোমবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভার্চুয়ালি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠক সূত্র জানায়, সরকার প্রেরিত জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫-এর খসড়া ও জুলাই ঘোষণাপত্রের চূড়ান্ত খসড়া নিয়ে নেতারা মতামত দেন। বিএনপির নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিলে কিছু দল ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ বা দ্বিতীয় স্বাধীনতার দাবি তুলতে পারে। এ বিষয়ে এক নেতা বলেন, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়েছে, কিন্তু নতুন করে স্বাধীনতা এনে দেয়নি।
বিএনপি মনে করে, জুলাই সনদে প্রস্তাবিত সংস্কার বা সুপারিশগুলো নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এসে দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। তবে ঘোষণাপত্রকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার বিপক্ষে তারা। দলটির যুক্তি, এতে ১৯৯০ সালের এরশাদবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানসহ অন্যান্য আন্দোলনের ক্ষেত্রেও একই দাবি উঠতে পারে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, “জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিছু সংশোধনী সরকারকে পাঠানো হয়েছে। সনদ নিয়ে আলোচনার সুযোগ থাকলেও ঘোষণাপত্র নিয়ে আর নতুন আলোচনা চাই না।”
জুলাই সনদের খসড়ায় বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঐতিহাসিক তাৎপর্যকে সংবিধানে স্বীকৃতি দেওয়ার অঙ্গীকার থাকবে। বিএনপি এ দফার বিরোধিতা করলেও খসড়ার বাকি ছয় দফার সঙ্গে একমত। ঘোষণাপত্রের চূড়ান্ত খসড়ায় বিএনপির প্রস্তাব অনুযায়ী ৭ নভেম্বর ১৯৭৫-এর ‘সিপাহি-জনতার বিপ্লব’, জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন এবং এক-এগারোকে ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিএনপি জানিয়েছে, জুলাই ঘোষণার সংক্ষিপ্ত স্বীকৃতি সংবিধানের চতুর্থ তফসিলে যুক্ত করতে তারা আগ্রহী। কয়েক দিনের মধ্যে সরকারকে জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের চূড়ান্ত খসড়া পাঠানো হবে।
বাংলাধারা/এসআর