কাতার হামলা ইস্যুতে নেতানিয়াহুর সঙ্গে রুবিওর বৈঠক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫, ০৮:০১ রাত

ছবি: সংগৃহিত
এএফপি জানিয়েছে, কাতারে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ হামলা গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ওয়াশিংটন।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বৈঠকের মূল আলোচনায় ছিল কাতার হামলার পরবর্তী পরিস্থিতি, গাজা যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ এবং পশ্চিম তীর সংযুক্তির পরিকল্পনা।
রুবিওর এই সফর মূলত ফ্রান্সের উদ্যোগে আয়োজিত জাতিসংঘ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নির্ধারিত হয়েছিল। সম্মেলনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসবে, যা ইসরায়েল সরকারের তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়েছে। তবে এর আগেই ইসরায়েলের কাতার হামলা আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে। হামলার সময় কাতারে অবস্থানরত হামাস নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে বৈঠক করছিলেন।
পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্যও। দীর্ঘদিনের ইসরায়েলপন্থী এই প্রেসিডেন্ট এবার প্রকাশ্যে কাতারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “কাতার আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। ইসরায়েলসহ সবাইকে আরও সতর্ক হতে হবে। হামলা চালানোর আগে ভেবে দেখতে হবে।”
ওয়াশিংটন ছাড়ার আগে রুবিও বলেন, “আমরা এ হামলায় সন্তুষ্ট নই। তবে এখন আমাদের এগোতে হবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সেটি ঠিক করতে হবে।”
তিনি আরও জানান, নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনায় গাজা সিটি দখল, পশ্চিম তীর সংযুক্তি পরিকল্পনা এবং যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার ভবিষ্যৎ রূপরেখা নিয়ে আলাপ হবে। রুবিওর ভাষায়, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চান গাজা যুদ্ধ দ্রুত শেষ হোক। এর অর্থ হলো, বন্দিদের মুক্তি এবং হামাসকে চিরতরে হুমকি হিসেবে নিরসন।”
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১,২১৯ জন নিহত হন। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৪ হাজার ৮৭১ জন নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক। জাতিসংঘ এ সংখ্যাকে নির্ভরযোগ্য হিসেবে উল্লেখ করেছে।
বাংলাধারা/এসআর