গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৮৩ জন নিহত, শিশুদেরও মৃত্যু অনাহারে
প্রকাশিত: আগস্ট ০৬, ২০২৫, ১১:৫৪ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৮৩ জন ফিলিস্তিনি। আলজাজিরার প্রতিবেদনে স্থানীয় চিকিৎসা কর্মকর্তাদের বরাতে এই তথ্য উঠে এসেছে।
নিহতদের মধ্যে ৫৮ জনই ছিলেন ত্রাণ সহায়তা পাওয়ার আশায় অপেক্ষমাণ সাধারণ মানুষ। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে যাওয়ার পথে তারা ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহতরা সবাই ছিলেন নিরস্ত্র এবং তারা বারবার অনুরোধ করলেও গুলি থামায়নি আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী)।
একই সময়ে অনাহার ও অপুষ্টিতে মারা গেছে আটজন শিশু। চিকিৎসাসেবার অভাব ও খাদ্যের সংকট গাজার মানবিক পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।
এই সংকটে গাজার মানুষের জন্য ৬ কোটি ডলারের খাদ্য সহায়তা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, “গাজার মানুষ পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছে না। আমরা তাদের খাওয়ানোর চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটময় এবং দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।”
তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই ত্রাণ কার্যক্রম নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে আন্তর্জাতিক মহলে। অভিযোগ রয়েছে, বিতরণকৃত ত্রাণের বড় অংশই নিম্নমানের ও অখাদ্য। আরও গুরুতর অভিযোগ হলো, খাদ্য বিতরণের সময় ও স্থান আগেই জানিয়ে দেওয়া হয় ইসরায়েলি বাহিনীকে। ফলে নির্দিষ্ট স্থানে ভিড় করা সাধারণ মানুষদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।
এই ধরনের হামলা ও মানবিক লঙ্ঘনের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ ও নিন্দা জানালেও ইসরায়েল সেগুলো উপেক্ষা করে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো গাজায় মানবিক করিডোর খোলার আহ্বান জানালেও এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
গাজার মানুষ এখন বেঁচে থাকার সংগ্রামে লড়ছে, একদিকে বোমা, অন্যদিকে ক্ষুধা।
বাংলাধারা/এসআর