আলাস্কা বৈঠক ঘিরে ইউক্রেনে উদ্বেগ, সতর্ক দৃষ্টিতে ইউরোপ
প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৫, ০৯:১৬ রাত

ছবি: সংগৃহিত
যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় বহুল আলোচিত বৈঠক শুরু হতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। বৈঠকের ফলাফল নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ। যদিও প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি এখনো যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখছেন।
ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আলাস্কার উদ্দেশে যাত্রা করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যাত্রার আগে ট্রুথ সোশালে তিনি লিখেছেন, “বেশ ঝুঁকি আছে।” অন্যদিকে, আলাস্কায় যাওয়ার পথে রাশিয়ার পূর্বাঞ্চল মাগাডানে বিরতি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এয়ারফোর্স ওয়ান-এ থাকা সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ট্রাম্প জানান, আলোচনায় অঞ্চল বিনিময় প্রসঙ্গ উঠতে পারে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ইউক্রেনের হাতে থাকবে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “আমি ইউক্রেনের হয়ে আলোচনায় যাচ্ছি না।” যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সহায়তা প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, ন্যাটোর বাইরেও ইউরোপ ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে মিলিতভাবে এমন সহায়তার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে ইউক্রেনের অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এই বৈঠকে রাশিয়া বাড়তি সুবিধা পেয়ে যেতে পারে। কিয়েভের বাসিন্দা ইরিনা কোজিরেভা বিবিসিকে বলেন, “আলাস্কার বৈঠকের মাধ্যমে পুতিন যুদ্ধে যে অপরাধ করেছেন, সেটির যেন বৈধতা পেয়ে না যান।” ইতোমধ্যে কিয়েভে মার্কিন দূতাবাসের সামনে শতাধিক মানুষের বিক্ষোভে ভূখণ্ড নয়, বরং বন্দি বিনিময়ের দাবি তোলা হয়েছে।
ট্রাম্প অবশ্য সতর্ক করে বলেছেন, পুতিন যদি যুদ্ধ বন্ধে অস্বীকৃতি জানান, তাহলে এর পরিণতি কঠোর হবে। “এটা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে নয়, বরং হাজারো মানুষের জীবন রক্ষার জন্য প্রয়োজন,” বলেন তিনি।
অন্যদিকে, জেলেনস্কিও আলাস্কার বৈঠককে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করেছেন। এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি জানান, “আমরা আমেরিকার ওপর আস্থা রাখি। দোনেৎস্ক ও জাপোরিঝিয়ায় রুশ আগ্রাসন ঠেকাতে সেনা পাঠানো হচ্ছে, আর এই দুটি অঞ্চল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে পারে।”
বৈঠকের আগে জেলেনস্কি ফোনে কথা বলেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে। মাখোঁর দপ্তর জানিয়েছে, আলাস্কার বৈঠক শেষে দুই নেতা সরাসরি সাক্ষাৎ করবেন।
বাংলাধারা/এসআর