ইসরায়েলের বাজান তেল শোধনাগারে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৩
প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৫, ০৪:৪৭ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
ইসরায়েলের হাইফা শহরের বাজান তেল শোধনাগারে ইরানের নিক্ষিপ্ত একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এ ঘটনায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। হামলাটি ঘটে গত ১৭ জুন ভোরের আগে। তবে সোমবার (১৮ আগস্ট) ইরানের সংবাদমাধ্যম মেহের নিউজ এজেন্সি প্রথমবারের মতো খবরটি প্রকাশ করে।
ইসরায়েলের হিব্রু ডেইলির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্রটি শোধনাগারের ভেতরের একটি অংশে বিস্ফোরিত হলে তিনজন শ্রমিক ধ্বংসস্তূপ ও আগুনে আটকা পড়ে প্রাণ হারান। হামলায় স্থাপনার আলোকসজ্জা ও জ্বালানি উৎপাদন ব্যবস্থায় ব্যাপক ক্ষতি হয়।
বাজান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তাদের সব স্থাপনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে ধীরে ধীরে উৎপাদনে ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে। কোম্পানির হিসাব অনুযায়ী, হামলায় প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ মিলিয়ন ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৩ জুন থেকে টানা ১২ দিন ইসরায়েল ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক এলাকায় বিমান হামলা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নাতাঞ্জ, ফোর্ডো ও ইসফাহানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানে।
ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাবে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) অ্যারোস্পেস ইউনিট ‘ট্রু প্রমিজ-৩’ অভিযানের আওতায় দখলকৃত ভূখণ্ডে ২২ দফা পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এসব হামলায় ইসরায়েলের উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়।
অন্যদিকে, মার্কিন হামলার প্রতিশোধে ইরানি বাহিনী কাতারের আল উদেইদ এয়ারবেসে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যা মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পরদিনই যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায়। এর প্রেক্ষিতে ২৪ জুন থেকে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বন্ধ হয়।
বাংলাধারা/এসআর