কিয়েভে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, প্রথমবার মন্ত্রিসভা ভবন লক্ষ্যবস্তু
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৫, ০২:০১ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো রাশিয়া সরাসরি ইউক্রেনের মন্ত্রিসভা ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। একই সময়ে রাজধানী কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া স্বেরিডেনকো বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, "আমরা ভবনগুলো আবার গড়ে তুলতে পারব, কিন্তু যারা নিহত হয়েছেন তাদের আর ফিরিয়ে আনা যাবে না। বিশ্বকে শুধু কথায় নয়, কাজে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে। বিশেষ করে রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবরোধ প্রয়োজন।"
আল-জাজিরা জানিয়েছে, হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ১৮ জন। সরকারি কার্যালয়সহ বেশ কিছু ভবনে আগুন লেগেছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে একজন শিশু ও এক তরুণীও রয়েছেন। শহরের পূর্ব ও পশ্চিম অংশে একাধিক উঁচু ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রাতভর নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছেন।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো জানিয়েছেন, ডিনিপ্রো নদীর পূর্ব তীরের ডার্নিটস্কি জেলায় ধ্বংস হওয়া একটি ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ চারতলা অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া পশ্চিম কিয়েভের সভিয়াতোশিনস্কি জেলায় ১৬ তলা ও দুটি ৯ তলা ভবনেও আগুন লাগে। শহরের জরুরি সেবা প্রধান টাইমুর তাকাচেঙ্কো পরে নিশ্চিত করেছেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে এক বছরের এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভোরে শহরজুড়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। একইসঙ্গে আকাশে বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর পাল্টা ফায়ারিংয়ের দৃশ্যও চোখে পড়ে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, ডার্নিটস্কি জেলার একটি আশ্রয়কেন্দ্রে হামলার পরপরই এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিত করা যায়নি।
হামলার পর রাজধানীর কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের মন্ত্রিসভা ভবনের ছাদ থেকেও ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। সেখানে মন্ত্রীদের দপ্তরও ছিল।
এই হামলাকে কিয়েভ কর্তৃপক্ষ যুদ্ধের নতুন অধ্যায় হিসেবে দেখছে। তাদের দাবি, এটি শুধু ইউক্রেন নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই এক বড় সতর্কবার্তা।
বাংলাধারা/এসআর