গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ঐক্যের ডাক তারেক রহমানের
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫, ০৮:৪৬ রাত

ছবি: সংগৃহিত
বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্য অর্জনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান।
তারেক রহমান বলেন, ২০০৭ সাল থেকে প্রতিবছর ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস পালিত হচ্ছে। গণতন্ত্রের সারবত্তা ও এর শক্তি সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই এ দিনটি পালিত হয়। তিনি এ উপলক্ষে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, আহতদের প্রতি সহমর্মিতা জানান এবং গণতন্ত্রকামী বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা জানান।
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসন থেকে জাতিকে মুক্ত করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথ উন্মোচন করেছিলেন। আর সেই ধারাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন বেগম খালেদা জিয়া, যিনি বহুবার স্বৈরশাসনের নির্মম আঘাত সহ্য করেছেন।
তারেক রহমানের মতে, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ বারবার স্বৈরতন্ত্রের কবলে পড়েছে। রাজনৈতিক দল ও গণমাধ্যম নিষিদ্ধকরণ, ভোট জালিয়াতি, ভিন্নমত দমনে রাষ্ট্রীয় শক্তির অপব্যবহার—এসব অনাচার দেশের গণতান্ত্রিক ভিত্তিকে দুর্বল করেছে। বিশেষ করে গত দেড় দশকে আওয়ামী শাসনব্যবস্থা গণতন্ত্রকে বন্দি করে রেখেছিল বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য "অ্যাচিভিং জেন্ডার ইকুইলিটি অ্যাকশন বাই অ্যাকশন" তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্রে নারী-পুরুষসহ সকল লিঙ্গের মানুষের সমান সুযোগ ও মর্যাদা নিশ্চিত হওয়া অপরিহার্য। সমানাধিকার প্রতিষ্ঠাই হলো গণতান্ত্রিক সমাজের মূল শক্তি।
তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্র কেবল একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা নয়; এটি একটি সার্বজনীন মূল্যবোধ, যা জনগণের স্বাধীন মতপ্রকাশ, পূর্ণ অংশগ্রহণ ও মানবিক মর্যাদার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। গত বছরের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসনের পতনের মধ্য দিয়ে নতুন সম্ভাবনার সূচনা হয়েছে। এখন তাই সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার।”
তারেক রহমান জানান, বাংলাদেশের পুনর্গঠনের ভিত্তি হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন; বিচার বিভাগের স্বাধীনতা; গণমাধ্যমের মুক্ত পরিবেশ এবং গণতন্ত্রের মৌলিক নীতির প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োগ। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “ইনশাআল্লাহ আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব, যেখানে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পাবে সমৃদ্ধি, স্বনির্ভরতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ।”
বাংলাধারা/এসআর