ঢাকা, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২

গাজায় ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা, ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে হাজারো ফিলিস্তিনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

 প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫, ১০:৫৪ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

গাজায় নতুন করে শুরু হয়েছে ইসরায়েলের ভয়াবহ বোমাবর্ষণ। বৃষ্টির মতো হামলা চালানোয় উপকূলীয় এই অঞ্চলের হাজারো মানুষ জীবন বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন। পালিয়ে যাওয়া অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, হয়তো আর কোনোদিন তারা নিজের ঘরে ফিরতে পারবেন না। জাতিসংঘ মহাসচিব এ ঘটনাকে মানবিক বিপর্যয় আখ্যা দিয়েছেন। খবর আলজাজিরা।

হামলার মুখে গাজার সাধারণ মানুষ যখন শেষ সম্বলটুকু নিয়ে আল রশিদ সড়ক ধরে উপকূলের দিকে ছুটছেন, তখন পেছনে ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছিল শহর। এক্স-এ দেওয়া পোস্টে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ বলেন, “গাজা জ্বলছে।”

প্রথম দিকে দখলদারিত্বের মধ্যেও অনেক ফিলিস্তিনি ভূমি ছেড়ে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক হামলায় বহুতল ভবন, আবাসিক এলাকা ও বেসামরিক স্থাপনা ধ্বংস হওয়ায় তারা বাধ্য হচ্ছেন আশ্রয়ের খোঁজে ছুটতে। যদিও গাজার কোথাও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নেই।

শুধু গতকাল মঙ্গলবারের হামলাতেই প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৯১ জন। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উপকূলীয় সড়ক ধরে নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশে ছুটে যাওয়া একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল, যাতে একাধিক মানুষ নিহত হন।

হামলায় শহরের অন্তত ১৭টি আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া স্থাপনাগুলোর মধ্যে তুফাহ এলাকার ঐতিহাসিক আইবাকি মসজিদও রয়েছে, যেটিকে সরাসরি যুদ্ধবিমান দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করা হয়।

শুধু আকাশপথ নয়, বিস্ফোরক রোবট ব্যবহার করেও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। বিশেষ করে উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে এ ধরনের রোবট নিক্ষেপ করা হচ্ছে। ইউরোপীয় ও মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক অধিকার সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসে অন্তত ১৫টি বিস্ফোরক রোবট বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, যাতে প্রায় ২০টি বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে।

গাজার আকাশে প্রতিনিয়ত বোমার শব্দ, মাটিতে ধ্বংসস্তূপ আর মানুষের কান্না— সব মিলিয়ে অঞ্চলটি এখন এক ভয়াবহ মানবিক সংকটের প্রতিচ্ছবি।

বাংলাধারা/এসআর