নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি দ্রুত নির্বাচনের পথে, দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজের প্রতিশ্রুতি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫, ০৩:১১ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
নেপালের অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি জানিয়েছেন, তিনি ছয় মাসের মধ্যে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্পন্ন করে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। এ লক্ষ্যে তিনি প্রতিদিন ১৮ ঘণ্টা কাজ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন।
বিবিসি নেপালিকে দেওয়া তার প্রথম সাক্ষাৎকারে সুশীলা বলেন, “আমরা জানি সাধারণ মানুষের চাপের মুখে এই সরকার গঠিত হয়েছে। আমি চাই আমার দায়িত্ব নির্ধারিত সময়ে শেষ করে পদত্যাগ করতে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে সক্রিয় করে তুলব। প্রথম কাজ হবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা। দিনরাত কাজ করলে ছয় মাসের মধ্যে এটা সম্ভব।”
প্রসঙ্গত, নেপালে নির্বাচন ২০২৬ সালের ৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। সুশীলা কার্কি নিশ্চিত করেছেন, নির্বাচনের অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার সব উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তিনি বিগত সরকারের দুর্নীতিরও অনুসন্ধান করতে আগ্রহী। তার কথায়, “দুর্নীতির প্রকৃতি বোঝা দরকার। আমরা তদন্ত শুরু করলে পরবর্তী সরকারও তা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। যতক্ষণ না তদন্ত সম্পন্ন হয়, জাতির শান্তি প্রতিষ্ঠা কঠিন।”
জেন-জি বিক্ষোভে সহিংসতার তদন্ত নিয়ে সুশীলা বলেন, বর্তমান মন্ত্রিসভায় মাত্র চারজন সদস্য রয়েছেন এবং আমাদের হাতে সময় ছয় মাস। পরিকল্পনা হলো এক মাস বা দেড় মাসের মধ্যে এই তদন্ত শেষ করা, যেখানে বিভিন্ন ক্ষেত্রের তিনজন বিশেষজ্ঞ কাজ করবেন।
সুশীলা মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের কথাও উল্লেখ করেছেন, যাতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ কাজ দ্রুত এগিয়ে নেয়া যায়। তবে এ সিদ্ধান্ত দেশজুড়ে নতুনভাবে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কারণে তাদের নতুন নেপালের স্বপ্ন ভেস্তে গেছে দাবি করেছেন। এ বিষয়ে সুশীলা বলেন, “সম্ভব না হলেও আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করব। কিছু অপূর্ণ থাকলেও পরবর্তী সরকার তা পূরণ করবে।”
এই প্রস্তুতি ও প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে নেপাল দ্রুত নির্বাচনের পথে এগোচ্ছে, যেখানে সরকারের কার্যক্ষমতা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপই প্রধান অগ্রাধিকার।
বাংলাধারা/এসআর