ঢাকা, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, প্রধান উপদেষ্টাও সহযোগিতা করছেন : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫, ০১:৩৫ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র ‘ঠিকানা’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টাও নির্বাচনের পক্ষে সহযোগিতা করছেন। তবে শত্রুরা বাংলাদেশকে অস্থির অবস্থার মধ্যে রাখতে চাইছে, যা প্রতিরোধ করতে হলে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।’

সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, ‘নিশ্চিতভাবেই নির্বাচন হবে। তবে দীর্ঘদিন ধরে মানুষের মধ্যে যে অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে আমাদের সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসও নির্বাচনের পক্ষে। দলের চেয়ারপার্সন তার সঙ্গে মিটিং করার পর এ বিষয়ে দৃঢ়তা পেয়েছেন।’

ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো, সেনাবাহিনী এবং প্রশাসন সকলেই জানে নির্বাচন হবে। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশে সরল ও সহজ কোনো পরিস্থিতি হয় না। সবকিছুই জটিল এবং আবদ্ধ হয়ে থাকে। শত্রুরা দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায়, যা আমাদের সবাইকে প্রতিরোধ করতে হবে।’

তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, ‘বর্তমানে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্রবণতা হচ্ছে মব ভায়োলেন্স। কারো বিরুদ্ধে আক্রমণ, বাড়ি ভাঙা বা ফ্যাক্টরি পোড়ানো, এগুলো খুবই পরিকল্পিত এবং ভয়ানক ঘটনা। যারা বাংলাদেশের স্থায়িত্বে বিশ্বাস করে না, তারাই এই অস্থিরতা ছড়াচ্ছে।’

বিএনপি মহাসচিব মনে করান, ‘আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বিভাজনের রাজনীতি চালিয়েছে। এর ফলে মানুষের মধ্যে অবিশ্বাস জন্মেছে, যা দূর করা এখন সবচেয়ে জরুরি। দেশের মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা, রাজনৈতিক দল ও নেতাদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা, এটাই এখন প্রধান কাজ। দেশের মিডিয়া যদি সব সময় নেগেটিভ প্রভাব সৃষ্টি করে, তা দুঃখজনক।’

ফখরুল এনসিপি ও জামায়াতের অবস্থান প্রসঙ্গে বলেন, ‘পলিটিক্যাল পার্টি সবসময় তাদের দাবির ভিত্তিতে রাজনৈতিক আলোচনা বা বার্গেইনিং করে। এটাকে অপরাধ হিসেবে দেখার কিছু নেই। তবে কিছু দাবি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা কঠিন। ইতিমধ্যেই অনেক আলোচনা হয়েছে এবং আরও আলোচনা হওয়ার সুযোগ তৈরি আছে।’

বাংলাধারা/এসআর