নেতানিয়াহুকে পশ্চিম তীর দখল করতে দেব না: ট্রাম্প
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পশ্চিম তীর দখলের পরিকল্পনা ঠেকানোর অঙ্গীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, গাজা নিয়ে একটি সমঝোতা শিগগিরই হতে পারে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানায়, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে নেতানিয়াহুর ভাষণের আগের দিন হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আমি ইসরায়েলকে পশ্চিম তীর দখল করতে দেব না। এটা কোনোভাবেই ঘটবে না।”
আগামী সোমবার হোয়াইট হাউসে নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। এর আগে তিনি জানান, গাজা ইস্যুতে একটি “ভালো সমঝোতা প্রায় কাছাকাছি” অবস্থায় আছে।
গাজা যুদ্ধ বন্ধ ও পশ্চিম তীরের দখলদারিত্ব ঠেকাতে ইসরায়েলের ওপর বৈশ্বিক চাপ ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। যুক্তরাজ্য ও জার্মানি ইতোমধ্যেই তেলআবিবকে পরিণতি নিয়ে সতর্ক করেছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, পশ্চিম তীর দখল হবে “নৈতিক, আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য।”
এদিকে পশ্চিমা দেশগুলোর একের পর এক ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমর্থন জোরালো হচ্ছে। তবে নেতানিয়াহুর ডানপন্থি জোটের উগ্র জাতীয়তাবাদীরা পশ্চিম তীর দখলকেই স্থায়ী সমাধান হিসেবে দেখছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সরাসরি যেতে পারেননি ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ৮৯ বছর বয়সী এই নেতা ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন।
তিনি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানান এবং স্পষ্ট করে বলেন, ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থায় হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না। আব্বাসের ভাষ্যে, ইসরায়েলি সেনারা প্রত্যাহার হলে গাজার পূর্ণ দায়িত্ব নেবে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ এবং সেটিকে পশ্চিম তীরের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির বিপক্ষে অবস্থান ধরে রেখেছে। ওয়াশিংটনের মতে, এখনই স্বীকৃতি দিলে সেটি হামাসের জন্য পুরস্কারের সমান হবে।
মধ্যপ্রাচ্যের নানা নেতার সঙ্গে এরই মধ্যে আলাপ করেছেন ট্রাম্প। তার আশাবাদ, গাজা নিয়ে আলোচনার অগ্রগতি হয়তো স্থায়ী শান্তির পথও খুলে দিতে পারে।
বাংলাধারা/এসআর