যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্পের ঘোষণা, তবুও গাজায় হামলা ইসরায়েলের
প্রকাশিত: অক্টোবর ০৯, ২০২৫, ১১:৪৮ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
মধ্যপ্রাচ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটাতে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও বাস্তবে থামেনি ইসরায়েলের হামলা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার রাতে জানান, তাঁর প্রস্তাবিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে হামাস ও ইসরায়েল সম্মত হয়েছে। কিন্তু সেই ঘোষণা ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরও গাজার আকাশে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান তাণ্ডব চালিয়েছে।
নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, “আমি অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি, ইসরায়েল ও হামাস উভয়েই আমাদের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ের বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে।”
কিন্তু আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের এই ঘোষণার পরপরই গাজা নগরীর পশ্চিমাংশে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। আল-শাতি শরণার্থীশিবিরের একটি বাড়ি ওই হামলায় লক্ষ্যবস্তু হয়। একই সঙ্গে গাজা নগরীর দক্ষিণাঞ্চল সাবরা এলাকায় কয়েকটি বাড়ির কাছে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটায় ইসরায়েলি সেনারা। তবে এসব হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
গত মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজা সংকট নিরসনে ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। এতে শুরু থেকেই ইতিবাচক সাড়া দেয় হামাস, আর ইসরায়েল আগেই নীতিগতভাবে তা মেনে নেয়। সর্বশেষ তাঁর মধ্যস্থতায় প্রথম ধাপের কার্যক্রমে উভয় পক্ষ সম্মত হওয়ার ঘোষণা আসে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েলের দাবি অনুযায়ী, সে ঘটনায় ১ হাজার ২১৯ জন নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। তাঁদের মধ্যে এখনো ৪৭ জন গাজায় বন্দী আছেন, আর অন্তত ২৫ জন ইতোমধ্যে মারা গেছেন বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ওই হামলার পর থেকেই গাজায় অব্যাহত নৃশংস অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল।
ট্রাম্পের ঘোষণা যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনায় নতুন আশার সঞ্চার করলেও ইসরায়েলের ধারাবাহিক হামলা সেই আশাকে ক্ষীণ করছে। ফলে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে কি না, তা নিয়ে এখনো শঙ্কা রয়ে গেছে।
বাংলাধারা/এসআর