ঢাকা, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২

শিমুলিয়া ঘাটে হবে আন্তর্জাতিক মানের কনটেইনার পোর্ট: মুন্সীগঞ্জে পাঁচ উপদেষ্টা

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

 প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৫, ১১:৪৫ দুপুর  

ছবি: বাংলাধারা

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে নির্মিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের ইকো কনটেইনার পোর্ট। বিআইডব্লিউটিএর মালিকানাধীন ২৯ দশমিক ৩১ একর জমিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৫৬ কোটি টাকা।

রোববার (২২ জুন) শিমুলিয়া এলাকায় বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। তাঁর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।

উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “আন্তর্জাতিক মানের এই বন্দরের জন্য সরকার অর্থায়ন ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। এটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (PPP) গড়ে তোলা হবে। যে কেউ চাইলে বিনিয়োগ করতে পারবে। তবে কবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।”

তিনি আরও জানান, বিআইডব্লিউটিএ ও স্থানীয় প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, পুরো কনটেইনার পোর্ট এলাকা চারটি জোনে ভাগ করা হবে:

  • এ-জোন: মোংলা বন্দরের আদলে ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনাল (ICT) এবং বিআইডব্লিউটিএর নিজস্ব আইটি ভবন।
  • বি-জোন: ট্রাক পার্কিং এলাকা।
  • সি-জোন: প্রশাসনিক ভবন ও অফিস।
  • ডি-জোন: পুরোনো শিমুলিয়া ফেরিঘাট পুনঃস্থাপন, বাস পার্কিং, ক্যাফেটেরিয়া, লাইব্রেরি, ওয়াকওয়ে।

শুধু পোর্ট নয়, পরিকল্পনায় রয়েছে একটি আধুনিক রিভার মিউজিয়াম, নদীতীরবর্তী ইকো রিসোর্ট, সুইমিং পুল এবং কিডস জোন নির্মাণের প্রস্তাব। বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে শিমুলিয়া ঘাটের পুরোনো ঐতিহ্য রক্ষায় - নদীর পাড়ে ফেরিঘাট পুনঃস্থাপন করা হবে পর্যটন ও সাংস্কৃতিক চেতনার অংশ হিসেবে।

এর আগে দিনের শুরুতে ড্রেজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে পাঁচ উপদেষ্টার উপস্থিতিতে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার, এবং পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক।

উপস্থিত অতিথিরা নতুন এই পরিকল্পনার প্রশংসা করেন এবং প্রকল্পটি যেন স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থান, পরিবেশ সুরক্ষা ও নদী ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়- সে বিষয়ে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেন।


বাংলাধারা/এসআর