জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষায় সতর্ক থাকার আহ্বান তারেক রহমানের
প্রকাশিত: জুলাই ০২, ২০২৫, ১০:৩২ রাত

ছবি: সংগৃহিত
জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্রের সুযোগ যেন কেউ না পায়- এ বিষয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, “আমরা চাই, বাংলাদেশে আগামী দিনে যে ১২ কোটি ৫০ লাখ ভোটার থাকবে, তারা যেন ব্যালটের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে। এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে যাতে কোনো ষড়যন্ত্র না হয়, সেজন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের বহু নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছে, পঙ্গুত্ব বরণ করেছে, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। এই অধিকার নিয়ে যেন কেউ কোনো ষড়যন্ত্র করতে না পারে, সেটিই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
বুধবার (২ জুলাই) বিকেল ৩টায় পটুয়াখালী জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে সকাল ১০টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের উদ্বোধন করেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু।
তারেক রহমান বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের একজন সদস্য হিসেবে প্রত্যেক নেতাকর্মীর দায়িত্ব গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্তিশালী করা এবং জাতীয় স্বার্থে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখা। পাশাপাশি দলের সুনাম এবং ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়, এমন কোনো কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে এবং অন্যদের বিরত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, “মানুষ যখন জানে, আপনি বিএনপির নেতা বা কর্মী, তখন সাধারণ মানুষের মনে আপনার প্রতি একটি প্রত্যাশা তৈরি হয়। আমাদের সেই প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই চলতে হবে। আমি বিভিন্ন সময়ে বলেছি—জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণের সঙ্গে থাকুক, জনগণকে সঙ্গে রাখুন। একজন রাজনৈতিক কর্মীর মূল দায়িত্ব হলো জনগণকে খুশি রাখা এবং তাদের সমর্থন ধরে রাখা।”
গত এক বছরের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, “এক বছর আগেও এই দিনে স্বৈরাচার আমাদের ঘাড়ের ওপর চেপে বসেছিল। কিন্তু সাধারণ মানুষ সেই স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করেছে। কারণ, জনগণ যেমন পরিবর্তন চেয়েছিল, সেই অনুযায়ী তাদের দলের নেতাকর্মীরা কথা বলেনি বা কাজ করেনি। মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ না করায় তাদের আজ এই পরিণতি। তাই আমাদের মূল দায়িত্ব মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করা।”
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে তারেক রহমান বলেন, “আপনি যদি এলাকায় এমন কোনো কাজ করেন, যা সাধারণ মানুষ প্রত্যাশা করে না, তাহলে তার নেতিবাচক প্রভাব পুরো বিএনপিকেই ভোগ করতে হবে। শহীদ জিয়ার সৈনিক হিসেবে আমরা এমন কোনো কাজ করব না, যা সাধারণ মানুষকে আমাদের ওপর বিরক্ত করে।”
সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে আলোচনা পর্বে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া। সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি।
এ সময় দলের ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেনসহ কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।
বাংলাধারা/এসআর