ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় আতঙ্কিত শেয়ারবাজার, লেনদেনের শুরুতেই ধস
প্রকাশিত: মে ০৭, ২০২৫, ১২:৪২ দুপুর

ফাইল ছবি
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক সংঘর্ষের প্রভাব পড়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় বুধবার (৭ মে) লেনদেনের শুরুতেই দেশের দুই শেয়ারবাজারেই দেখা গেছে বড় ধরনের দরপতন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শুরুর প্রথম আধাঘণ্টায় ৩০০টির বেশি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম পড়ে যায়। ফলে সূচকের বড় ধস নামে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই চিত্র দেখা গেছে।
বাজার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। পাকিস্তানে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাল্টা জবাবে পাকিস্তানও গুলি ছুড়েছে কাশ্মীর সীমান্তে। এই ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করেছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে।
ডিএসইর সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, “বাজার এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরেই দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। তার ওপর এই যুদ্ধংদেহী পরিস্থিতি বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত করে তুলেছে। তবে আমি মনে করি, বাজার এখন বটম লাইনে রয়েছে। এখান থেকে বড় পতনের সম্ভাবনা কম। সময় দিলে বাজার ঘুরে দাঁড়াবে।”
লেনদেন শুরুর কিছুক্ষণ পর দেখা যায়, মাত্র ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, বিপরীতে ৩৫৭টির দাম কমেছে এবং ১৫টি অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স একপর্যায়ে ৮৮ পয়েন্ট কমে গেলেও পরে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়ে পতন হয় ৮০ পয়েন্টে। ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ২০ পয়েন্ট এবং ডিএসই শরিয়াহ সূচক কমেছে ২২ পয়েন্ট। সকাল ১০টা ৫৪ মিনিট পর্যন্ত ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১৮৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকার।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই ধরনের প্রভাব দেখা গেছে। সিএএসপিআই সূচক ৫৬ পয়েন্ট কমে গেছে। লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকার। ৭৯টি কোম্পানির মধ্যে ১৩টির দাম বেড়েছে, ৫৮টির কমেছে এবং ৮টির দাম অপরিবর্তিত ছিল।
ডিএসইর একজন সদস্য বলেন, “বাজার এমনিতেই দুর্বল ছিল, বিনিয়োগকারীরা দিশেহারা অবস্থায় ছিলেন। এই সময় ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা যেন মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে এসেছে। সংবাদমাধ্যমে পাল্টাপাল্টি হামলার খবর আসতেই অনেকে আতঙ্কে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে বাজারে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে।”
তবে বাজার সংশ্লিষ্টদের মত, বিনিয়োগকারীরা যদি আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি বন্ধ রাখেন এবং ধৈর্য ধরেন, তাহলে বাজার ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে।
বাংলাধারা/এসআর