সংস্কারের জন্য সর্বোচ্চ ছাড়ে প্রস্তুত জামায়াত: ডা. তাহের
প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২৫, ০১:৫৬ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
রাষ্ট্র সংস্কারের প্রয়োজনে জামায়াতে ইসলামী সর্বোচ্চ ছাড় দিতে প্রস্তুত- এমন মন্তব্য করেছেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। তার ভাষায়, “সংস্কারকে আমরা দলীয় ইস্যু নয়, বরং জাতীয় কল্যাণের অংশ হিসেবে দেখছি।”
শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন-এর সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ডা. তাহের জানান, জামায়াতে ইসলামীর ভেতরে ইতোমধ্যেই সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে পুনর্বিবেচনা হয়েছে। তিনি বলেন, “অনেক ইস্যুতে আগে আমরা একমত ছিলাম না। তবে আলোচনার ভিত্তিতে সেখানে পরিবর্তন এনেছি। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আমরা আমাদের অবস্থানে নমনীয় হয়েছি।”
তিনি আরও যোগ করেন, “কমিশনের প্রস্তাবনা ও আলোচনার ভিত্তিতে যেসব পরিবর্তন বাস্তবিক অর্থেই জাতির কল্যাণে আসে, সেসব বিষয়ে আমরা সম্মত হয়েছি। আমাদের লক্ষ্য দলীয় স্বার্থ নয়, জাতীয় অর্জন নিশ্চিত করা।”
বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন-এর সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, প্রথম পর্যায়ের সংলাপ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই এই পর্ব শেষ হবে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপ শুরু হবে। তিনি বলেন, “বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল অনেক ইস্যুতে একমত হয়েছে। কিছু বিষয়ে ভিন্নমত থাকলেও তা আলোচনার মাধ্যমে নিরসনের চেষ্টা চলছে।”
বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। কমিশনের পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দেন নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এ টি এম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নেতা ড. হামিদুর রহমান আযাদ, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ এবং বিশিষ্ট আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
এই সংলাপকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে- জামায়াতে ইসলামী কি আদৌ সাংগঠনিক ও আদর্শিক কাঠামোয় পরিবর্তন আনবে? আর এই পরিবর্তন কতটুকু হবে জনস্বার্থে, তা নিয়ে এখন সকলের দৃষ্টি সংলাপের পরবর্তী পর্যায়ের দিকে।
বাংলাধারা/এসআর