বাংলাদেশে স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা, শুরুতেই মাসে ৪২০০ টাকায় ইন্টারনেট
প্রকাশিত: মে ২০, ২০২৫, ০২:৪৩ দুপুর

অবশেষে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো মহাকাশভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক। ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্পেসএক্স-এর এই অঙ্গপ্রতিষ্ঠানটি মঙ্গলবার সকালে তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে বাংলাদেশে সেবা চালুর ঘোষণা দেয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টা এবং তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ফেসবুকে জানান, গতকাল বিকেলে তাকে ফোনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
স্টারলিংক প্রাথমিকভাবে ‘রেসিডেন্স’ এবং ‘রেসিডেন্স লাইট’ নামে দুটি প্যাকেজে সেবা চালু করছে।
- রেসিডেন্স প্যাকেজ: মাসিক খরচ ৬,০০০ টাকা
- রেসিডেন্স লাইট প্যাকেজ: মাসিক খরচ ৪,২০০ টাকা
তবে যে কোনো প্যাকেজে সংযোগ পেতে গ্রাহককে এককালীন ৪৭,০০০ টাকা দিয়ে হার্ডওয়্যার কিনতে হবে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, উভয় প্যাকেজেই স্পিড বা ডেটার কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। গ্রাহকরা সর্বোচ্চ ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতি সহ আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন।
সংযোগ পেতে আগ্রহীদের www.starlink.com ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রথমে তাদের ঠিকানা দিয়ে চেক করতে হবে- সেবাটি সেখানে উপলব্ধ কি না। এরপর একটি সার্ভিস প্ল্যান বেছে নিয়ে হার্ডওয়্যার কিট কেনার মাধ্যমে অর্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
স্ট্যান্ডার্ড কিটে যা থাকবে:
- একটি স্যাটেলাইট ডিশ
- ওয়াই-ফাই রাউটার
- মাউন্টিং ট্রাইপড
- প্রয়োজনীয় ক্যাবল
সেটআপ পদ্ধতি একেবারেই সহজ। ডিশটি খোলা জায়গায়, আকাশমুখী করে স্থাপন করতে হবে—যাতে কোনো বাধা ছাড়াই সিগন্যাল গ্রহণ করা সম্ভব হয়।
অনেকের কাছে স্টারলিংকের মূল্য কিছুটা বেশি মনে হতে পারে, তবে এতে রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা। বিশেষ করে যেসব দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় এখনো ফাইবার অপটিক বা দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছায়নি, সেখানে এটি একটি কার্যকর সমাধান হয়ে উঠতে পারে।
স্টারলিংকের যাত্রা বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা বলেই মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা। উচ্চমূল্যের কারণে এটি আপাতত সীমিত আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে হলেও, নিরবচ্ছিন্ন ও দ্রুতগতির ইন্টারনেটের জন্য এটি হতে পারে একটি বাস্তবিক ও যুগান্তকারী বিকল্প।
বাংলাধারা/এসআর