উপদেষ্টা আসিফ-মাহফুজের পদত্যাগ চাইলেন ইশরাক
প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৫, ০৯:৫০ সকাল

ফাইল ছবি
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। তিনি মনে করেন, তারা প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতিতে জড়িত এবং ভবিষ্যতে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা থাকায় তাদের এই পদে থাকা রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি করছে।
বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে ইশরাক বলেন, গণতান্ত্রিক ভাষা ও রাজনৈতিক শিষ্টাচার মেনে যৌক্তিক কারণেই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমকে অন্তর্বর্তী সরকারের সব দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের আহ্বান জানাচ্ছি। এটা এখন প্রতীয়মান যে, আপনারা সরাসরি রাজনৈতিকভাবে সম্পৃক্ত এবং নির্বাচনেও অংশ নেবেন। তাহলে আপনাদের পদত্যাগ অযৌক্তিক কীভাবে হতে পারে?
পোস্টে তিনি সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে লেখেন, নাহিদ ইসলাম চাইলে আরও কিছুদিন মন্ত্রীত্ব করে এনসিপিতে যেতে পারতেন। কিন্তু রাজনৈতিক সততা ও শিষ্টাচার বজায় রেখে তিনি আগেই পদত্যাগ করেছেন। সার্জিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহর মতো নেতারাও একসময় একই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যাতে ভবিষ্যতে নির্বাচিত হয়ে পূর্ণ সম্মান নিয়ে মন্ত্রিত্ব করতে পারেন।
ইশরাক মনে করেন, আসিফ ও মাহফুজের পদত্যাগই অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি আরও শক্তিশালী করবে। তিনি বলেন, আপনারা এখন যেহেতু ক্ষমতায়, স্বাভাবিকভাবেই দলের লোকজনকে বিশেষ সুবিধা দিতে বাধ্য হবেন। শতভাগ নিরপেক্ষ থাকা সম্ভব হবে না। কাঁঠাল ভাঙবে আপনাদের মাথায়, খাবে কিন্তু অন্য সবাই।"
আসিফ-মাহফুজের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য আত্মপক্ষ সমর্থনের জবাবে ইশরাক লেখেন, হয়তো ভাববেন, আমি নিজে ক্ষমতার লোভে আন্দোলনে নৈতিক সমর্থন দিয়ে অবৈধভাবে মেয়র হতে চেয়েছি। কিন্তু আমার কোনো বিকল্প ছিল না। যাদের কারণে আপনাদের ভুল পথে পরিচালিত করা হয়েছে, তাদের ভুল বুঝিয়ে দেওয়া ছিল দেশের প্রয়োজনেই। আজ পর্যন্ত আমাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে- এটা রাজনৈতিক বোঝার ক্ষমতা থাকলেই বোঝা যায়।
আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং পূর্বের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে ইশরাক বলেন, আইন-আদালত মানা না হলে দেশ সংস্কার শুরুই হবে না। এখন আমাকে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতেই হবে। আর বন্দোবস্ত তো আগেরটাই চলছে, বরং আরও পাকাপোক্তভাবে। সুতরাং আপনাদের পদত্যাগ সময়ের দাবি।
শেষে আবারও জোর দিয়ে তিনি লেখেন, আপনারা কেন থাকতে চাইছেন, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকলে পদত্যাগ করুন- এটুকুই প্রত্যাশা।
বাংলাধারা/এসআর