ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে শাহবাগে ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি বৃহস্পতিবার

স্টাফ রিপোর্টার

 প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৫, ১০:০৫ রাত  

ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর শাহবাগ মোড় ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল সংলগ্ন মোড়ে অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছে ছাত্রদল।

ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি। এতে সাম্য হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার, মূল ঘাতকসহ জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।

এর আগে বুধবার (২২ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে ছাত্রদলের একাংশ ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ‘সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করা হয়। বক্তারা বলেন, গত নয় মাসে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুই শিক্ষার্থী খুন হয়েছেন, অথচ প্রশাসনের কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।

প্রতিবাদী শিক্ষার্থীরা ‘আর চাই না এনএসআইয়ের প্রক্টর’, ‘ক্যাম্পাসে লাশ ঝুলে, প্রক্টর কী করে’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘সাম্য হত্যার বিচার চাই’- এমন নানা স্লোগানে প্রতিবাদ জানান।

একই দিনে আরেকটি উল্লেখযোগ্য কর্মসূচিতে অংশ নেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। তিন দফা দাবিতে তিনি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশন শুরু করেন দুপুর ২টা থেকে।

  • তার দাবি তিনটি হলো-
    ১. সাম্য হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনা,
    ২. ডাকসু নির্বাচনের কমিশন গঠন ও একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা এবং
    ৩. বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন।

বিন ইয়ামিন বলেন, ১৫ মে’র মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। বরং একদল চায় না ডাকসু নির্বাচন হোক, আর প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাম্যর পিতা মো. ফকরুল আলম উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সেখানে সাম্য হত্যায় জড়িত সন্দেহে আরও তিনজনকে ২০ মে রাতে গ্রেপ্তার করার তথ্য জানানো হয়।

উপাচার্য বলেন, আমরা দ্রুত তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে চাই। এ বিষয়ে আমরা কোনো রাজনৈতিক বিবেচনায় যেতে চাই না।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাম্যর পরিবার।

তবে আন্দোলনরত ছাত্রদের দাবি, প্রশাসনকে আর সময় নয়- এখনই দৃশ্যমান অগ্রগতি প্রয়োজন। বিচারহীনতার সংস্কৃতি ভেঙে ছাত্রসমাজকে নিরাপদ ক্যাম্পাস ফিরিয়ে দিতে হবে।

 

বাংলাধারা/এসআর