ছাত্র উপদেষ্টা দুজনের সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই: নাহিদ
প্রকাশিত: মে ২৪, ২০২৫, ০২:৫২ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম বর্তমানে দলটির সঙ্গে কোনো ধরনের সাংগঠনিক বা রাজনৈতিক সম্পর্ক রাখেন না।
শনিবার (২৪ মে) রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির কেন্দ্রীয় অস্থায়ী কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, “এই দুই ছাত্র উপদেষ্টা গণঅভ্যুত্থানের সময়ে প্রতিনিধিত্বকারী সরকারে যুক্ত হয়েছিলেন। আমিও তখন তাদের সঙ্গে ছিলাম। তবে বর্তমানে তারা এনসিপির কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত নন। যদি তারা ভবিষ্যতে রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চান কিংবা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চান, তাহলে সরকারে থেকে সেটা সম্ভব নয়।”
নাহিদ ইসলাম দাবি করেন, ছাত্র উপদেষ্টাদের নিয়ে এনসিপিকে ঘিরে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন। “আমরা এই অপপ্রচারের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি,” বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা উচিত। পাশাপাশি বিচার ব্যবস্থার সংস্কার এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী রোডম্যাপ একত্রে উপস্থাপন করতে হবে। এর মাধ্যমে একটি জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।”
তিনি আরও বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা, দেশের ভবিষ্যৎ এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সকল পক্ষকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানে পৌঁছাতে হবে।”
সম্প্রতি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রকাশিত ৬২৬ জনের একটি তালিকা নিয়ে কথা বলেন এনসিপি আহ্বায়ক। তিনি বলেন, “এই তালিকা যদি আগেই প্রকাশ হতো, তাহলে জনমনে যেসব প্রশ্ন ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, তা অনেকটাই রোধ করা যেত। সেনাবাহিনীর সঙ্গে রাজনীতির যে অস্বস্তিকর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, তা অতীতে ওয়ান-ইলেভেন সময়েও দেখা গিয়েছিল, যা জাতির জন্য শুভকর নয়।”
নাহিদ অভিযোগ করেন, বিভিন্ন সময় সেনা অফিসারদের বিরুদ্ধে গুমসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ উঠলেও অনেকেই এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। তারা কোথায় আছে, কি অবস্থায় আছে, সেটাও আমরা জানি না।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নে নাহিদ বলেন, “আমরা মনে করি স্থানীয় সরকার নির্বাচনই এই মুহূর্তে সবচেয়ে বাস্তব সম্মত পথ। তবে বর্তমান নির্বাচন কমিশন জনগণের আস্থা হারিয়েছে। আস্থা ফিরিয়ে আনতে কমিশনের নিজ উদ্যোগে সংস্কারে যেতে হবে, অন্যথায় দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়াই উত্তম হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।
বাংলাধারা/এসআর