মেয়র হতে মুফতি ফয়জুল করীমের করা মামলা খারিজ
প্রকাশিত: মে ০৫, ২০২৫, ০৩:৫৮ দুপুর

বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচিত ঘোষণা চেয়ে দায়ের করা মামলা খারিজ করে দিয়েছেন নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির ও বরিশালের প্রখ্যাত ধর্মীয় নেতা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের এই মামলা গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
সোমবার (৫ মে) বরিশাল নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক হাসিবুল হাসান মামলাটির শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, নির্বাচনী গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে এ ধরনের মামলা দায়ের না করলে তা আইনত গ্রহণযোগ্য নয়। অথচ মুফতি ফয়জুল করীম এই মামলা দায়ের করেছেন গেজেট প্রকাশের প্রায় ৪৪৫ দিন পর।
মুফতি ফয়জুল করীমের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ নাসের। তিনি জানান, ১৭ এপ্রিল মামলা দায়েরের পর ১৮ ও ২৪ এপ্রিল দুই দফায় শুনানি হয়। সর্বশেষ ৫ মে ছিল মামলার অধিকতর শুনানির দিন। তবে আদালত মামলাটিকে ‘তামাদি’ (সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়া) হিসেবে আখ্যা দিয়ে তা খারিজ করে দেন।
তিনি আরও বলেন, “আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট নই। নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।”
২০২৩ সালের ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম অংশগ্রহণ করেন। তিনি ওই নির্বাচনে ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। বিজয়ী হন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, যিনি পেয়েছিলেন ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট।
নির্বাচনের পর ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলে মেয়র হিসেবে নিজেকে বিজয়ী দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হন মুফতি ফয়জুল করীম। তবে দীর্ঘ সময় পর মামলা করায় তা গ্রহণযোগ্য নয় বলে ট্রাইব্যুনাল জানিয়ে দেয়।
এই মামলার রায় নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘদিন পর মামলা করায় আইনগতভাবে এর গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়াটাই ছিল প্রত্যাশিত। তবে মামলাটি রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বাংলাধারা/এসআর