শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নামলো দুদক
প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২৫, ০১:৩৯ দুপুর

ফাইল ছবি
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে। সম্প্রতি কমিশনের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর রোববার (১৮ মে) একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয় বলে সংস্থাটির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত এই অনুসন্ধান দল শেখ হাসিনার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব এবং আয়কর নথিপত্র বিশ্লেষণ করে প্রকৃত সম্পদের উৎস ও বৈধতা যাচাই করবে।
এর আগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পূর্বাচলে প্লট জালিয়াতি, বিদেশে অর্থ পাচার ও প্রকল্পের অর্থ লুটপাটসহ একাধিক অভিযোগে অনুসন্ধান চালিয়েছে দুদক। এসব অভিযোগের মধ্যে কিছুতে চার্জশিটও দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের ১০ মার্চ, পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট অনিয়মিতভাবে বরাদ্দ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানার পরিবারের সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন এবং জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক ৬টি অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে দুদক। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
শুধু প্লট নয়, বিগত ১৫ বছরে দেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পে হাজার হাজার কোটি টাকার লুটপাটের অভিযোগও রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এবং মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মোকাম্মেল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল দুদক। যদিও এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
দুদকের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, "আলোচিত ব্যক্তিরা যতই প্রভাবশালী হোক, তদন্ত থেকে কেউ রেহাই পাবে না। আমরা দলীয় পরিচয় নয়, অপরাধের প্রমাণকেই গুরুত্ব দিচ্ছি।"
দুদকের এমন পদক্ষেপে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম নিয়েছে। অনেকের মতে, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পর দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধান শুরু হওয়া একটি বড় ঘটনা, যা দেশের দুর্নীতি দমন প্রক্রিয়ায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।
বাংলাধারা/এসআর