ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শাবি অধ্যাপককে মারধর, প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

সিলেট প্রতিনিধি:

 প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৫, ০৬:১৫ সকাল  

ছবি: বাংলাধারা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পেট্রোলিয়াম ও খনি প্রকৌশল (পিএমই) বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলামকে মারধরের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থী সমাজ। ঘটনার পরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে তারা এবং সিলেট–সুনামগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে দীর্ঘক্ষণ।

রোববার (১৮ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আখালিয়া এলাকায় মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় অধ্যাপক শফিকুল ইসলামকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী অধ্যাপক জানান, তিনি ব্যক্তিগত গাড়ি চালিয়ে পাঠানটুলা এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের সামনে এক মোটরসাইকেল আরোহী হঠাৎ করে তার গাড়ির সামনে চলে আসে। এতে সামান্য ধাক্কা লাগলে মোটরসাইকেল আরোহী ক্ষিপ্ত হয়ে নেমে এসে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।

ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাত সাড়ে ৯টার দিকে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের সামনে এসে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করেন। প্রাথমিকভাবে প্রায় আধাঘণ্টা সড়কে অবস্থান নিয়ে তারা প্রতিবাদ জানান। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এসে দ্বিতীয় দফায় অবরোধে অংশ নেন।

সড়ক অবরোধের কারণে ওই রুটে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অসংখ্য যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, একজন সম্মানিত শিক্ষককে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তারা অবিলম্বে হামলাকারীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

সিলেটের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, "ঘটনার পর থেকেই পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। হামলাকারীকে শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম জানান, "শিক্ষার্থীদের শান্তভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে এনে প্রতিবাদ করতে বলা হয়েছে। শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।"

অধ্যাপকের ওপর হামলার ঘটনায় শাবি ক্যাম্পাসে উদ্বেগ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে চান। অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন অনেকে।


বাংলাধারা/এসআর