৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা ইশরাক হোসেন
প্রকাশিত: মে ২২, ২০২৫, ০৭:৫৬ বিকাল

ছবি: সংগৃহিত
অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে চলমান আন্দোলন আপাতত স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি নেতা ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে কাকরাইল মোড়ে আন্দোলনস্থলে উপস্থিত হয়ে তিনি এই ঘোষণা দেন।
ঘোষণায় ইশরাক বলেন, “বর্তমান সরকারের অন্তর্বর্তী কাঠামোয় যে দুজন ছাত্রপ্রতিনিধি রয়েছেন, তারা একটি রাজনৈতিক দলের ঘনিষ্ঠ ও সক্রিয় সংগঠক। তাদের অবস্থান পরিষ্কারভাবে পক্ষপাতদুষ্ট। যতদিন না তারা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন, ততদিন আমাদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা থেকে যাবে।”
তিনি আরও জানান, হাইকোর্টের সাম্প্রতিক আদেশকে সম্মান জানিয়ে এবং দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপাতত আন্দোলন স্থগিত রাখা হচ্ছে। তবে সরকার কীভাবে আচরণ করে, তা আগামী ৪৮ ঘণ্টা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
হাইকোর্টের আদেশের প্রসঙ্গ টেনে ইশরাক বলেন, সরকার মিথ্যা ও সাজানো রিটের মাধ্যমে আমাকে মেয়র হিসেবে শপথগ্রহণ থেকে বিরত রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আদালতের রায়ে আইন ও সত্যের জয় হয়েছে। আমাদের দলের অবস্থান পরিষ্কার- আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করি এবং আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের প্রত্যাশা রাখি।
অবরোধ ও কর্মসূচির ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করে ইশরাক বলেন, এই কর্মসূচির কারণে ঢাকাবাসীর নানান সেবা প্রাপ্তি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এজন্য আমি এবং আমার দলের পক্ষ থেকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইছি। তবে আমরা বিশ্বাস করি, এই আন্দোলনের পেছনে ছিল একটি বড় ন্যায়ের দাবি।
সমাপ্তি বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। আজকের বিজয় তৃণমূল বিএনপি কর্মী এবং ঢাকাবাসীর। আজ শুধু আমি মেয়র হইনি, বরং আপনারা সবাই হয়েছেন। এই বিজয় ঢাকার মানুষের বিজয়, গণতন্ত্রের বিজয়।
ইশরাক হোসেনের এ ঘোষণা স্পষ্ট করে দিল- সংগ্রাম আপাতত বিরতিতে গেলেও তা থেমে যায়নি। সরকার যদি পর্যবেক্ষণের সময়সীমায় কোনো গঠনমূলক সিদ্ধান্ত না নেয়, তাহলে আন্দোলন আবারো পুনরায় শুরু হতে পারে, এমন ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন বিএনপির এ তরুণ নেতা।
বাংলাধারা/এসআর