প্রেসক্লাবে সাবেক সেনাসদস্যদের বিক্ষোভ: সেনাবাহিনীর শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান
প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৫, ০৬:২২ সকাল

ছবি: আইএসপিআর
চাকরি থেকে বরখাস্ত ও অব্যাহতি পাওয়া একদল সাবেক সেনাসদস্য গত রবিবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নানা দাবিদাওয়ায় বিক্ষোভ করেন। কর্মসূচির শুরুতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করলেও পরে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
সাবেক এসব সেনাসদস্যের দাবি ছিল- চাকরিতে পুনর্বহাল, শাস্তি মওকুফ, ন্যায্য ক্ষতিপূরণ এবং অবসরের সুযোগসহ একাধিক মানবিক ও প্রশাসনিক সুবিধা। সকাল থেকেই প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে তাঁরা প্ল্যাকার্ড, ব্যানার হাতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল প্রেসক্লাব এলাকায় উপস্থিত হয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানায়, মানবিক বিবেচনায় সমস্যা যাচাই-বাছাই ও সম্ভাব্য সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়।
প্রতিনিধি দল আন্দোলনকারীদের জানান, বাহিনীর প্রচলিত বিধি অনুযায়ী যেকোনো অভিযোগ বা আবেদন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সরাসরি দাখিল করলেই তা বিবেচনায় আনা হবে।
আইএসপিআরের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত বরখাস্ত বা অব্যাহতিপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের কাছ থেকে মোট ৮০২টি আবেদন গৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে ১০৬টি আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং বাকি আবেদনগুলোর বিষয়ে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বিকেলের দিকে কিছু আন্দোলনকারী উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি দলের গাড়ি আটকে রাখেন বলে জানায় আইএসপিআর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হালকা বলপ্রয়োগ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়, কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং অশালীন স্লোগানের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে বিঘ্নিত করেন, যা মোটেও কাম্য নয়।
সেনাবাহিনী স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, তারা সাবেক সদস্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং সমস্যার সমাধানে সংবেদনশীল। তবে বাহিনীর মর্যাদা ও শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের উসকানি বা অপেশাদার আচরণ বরদাশত করা হবে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সংবিধান, আইনের শাসন এবং শৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সকলকে দায়িত্বশীল আচরণের অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
বাংলাধারা/এসআর