রথযাত্রা উৎসব, রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা দুপুরে
প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৫, ১০:৫৩ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা আজ শুক্রবার সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে। রাজধানী ঢাকায়ও হবে এই উৎসবের বর্ণাঢ্য আয়োজন।
আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শ্রী চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী জানিয়েছেন, ইসকনের ব্যবস্থাপনায় এবার দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ১২৮টি রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। তার মধ্যে ঢাকার রথযাত্রা বিশ্বে আকারের দিক থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব বলে দাবি করেছেন তিনি।
ঢাকার রথযাত্রার আনুষ্ঠানিকতা আজ শুক্রবার সকাল ৮টায় স্বামীবাগ আশ্রমে বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। এরপর দুপুর দেড়টায় হবে আলোচনা সভা। বিকেল ৩টায় শুরু হবে উৎসবের মূল আকর্ষণ বর্ণাঢ্য রথযাত্রার শোভাযাত্রা।
শোভাযাত্রাটি স্বামীবাগ আশ্রম থেকে শুরু হয়ে ইত্তেফাক মোড়, মতিঝিল, দৈনিক বাংলা, বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট, প্রেসক্লাব, হাইকোর্ট মোড় এবং শহীদ মিনার হয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হবে। ৫ জুলাই একই পথে রথ ফিরিয়ে আনা হবে, যাকে উল্টো রথযাত্রা বলা হয়।
রথযাত্রা উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। শ্রী চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী জানান, শোভাযাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং ইসকনের নিজস্ব পাঁচ শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন। ইতোমধ্যে পুলিশের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয়ও করা হয়েছে।
প্রতিবছর চন্দ্র আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে শুরু হয় জগন্নাথদেবের রথযাত্রা, যা ৯ দিন পর উল্টো রথযাত্রার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়। ভারতের পুরীর জগন্নাথ মন্দির থেকে রথযাত্রার সূচনা হলেও বাংলাদেশে এটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র ধর্মীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে।
উৎসব উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পদাবলি কীর্তন, ধর্মীয় নাটকসহ নানা কর্মসূচি। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এ বছর ঢাকার রথযাত্রায় লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রথযাত্রার মূল সৌন্দর্যই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, যেখানে জগন্নাথদেব, বলরাম ও সুভদ্রার রথ টেনে নেয়া হয় ভক্তদের দ্বারা। এই শোভাযাত্রা ভক্তি, আনন্দ এবং সম্প্রীতির এক অনন্য প্রকাশ হয়ে ওঠে।
বাংলাধারা/এসআর