ঢাকা, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের নাম বদলে ‘যুদ্ধ দপ্তর’ করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

 প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৫, ০১:২৬ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনের নাম পরিবর্তন করে ‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার’ বা ‘যুদ্ধ দপ্তর’ করার উদ্যোগ নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার এক নির্বাহী আদেশে সই করার পরিকল্পনা রয়েছে তার।

হোয়াইট হাউসের বরাতে জানা গেছে, প্রতিরক্ষা বিভাগের নাম পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। তার দাবি, নতুন নামটি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তির আরও দৃঢ় ও আক্রমণাত্মক ভাবমূর্তি বিশ্বে উপস্থাপন করবে।

এএফপির খবরে বলা হয়, আইন অনুযায়ী প্রতিরক্ষা দপ্তরের নাম অপরিবর্তিত থাকলেও ট্রাম্প নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রশাসনিকভাবে ‘যুদ্ধ দপ্তর’ নামটিকে বিকল্প শিরোনাম হিসেবে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছেন। এর ফলে সরকারি চিঠিপত্র, আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন নথিপত্রে ‘যুদ্ধ মন্ত্রী’ শিরোনাম ব্যবহার করা যাবে।

যদিও এখনো স্বাক্ষরের সুনির্দিষ্ট সময় নিশ্চিত হয়নি, তবে শুক্রবার বিকেলে ট্রাম্প ওভাল অফিসে বসে আনুষ্ঠানিকভাবে আদেশে সই করবেন বলে তার কর্মসূচিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে গত মাসের শেষ দিকে ৭৯ বছর বয়সী এই রিপাবলিকান নেতা বলেছিলেন, প্রতিরক্ষা বিভাগের নামটি অত্যন্ত ‘প্রতিরক্ষামূলক’। তার ভাষায়, “যুদ্ধ বিভাগ নামে আমরা প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জিতেছি। আমরা সবকিছু জিতেছি।”

ঐতিহাসিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার শুরুর দিকে স্থলবাহিনীর দায়িত্বে ছিল ‘ওয়ার ডিপার্টমেন্ট’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নৌ ও বিমান বাহিনীকে একীভূত করে ১৯৪৯ সালে এর নাম রাখা হয় ‘ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স’।

হোয়াইট হাউসের নথিতে বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধ দপ্তর’ নামটি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হলে তা যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুতি, সংকল্প এবং প্রতিপক্ষকে বার্তা দেওয়ার শক্তিশালী প্রতীক হয়ে উঠবে।

পেন্টাগনের এই পরিবর্তন ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক সংস্কারের অংশ। ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি ফক্স নিউজের সাবেক উপস্থাপক ও যুদ্ধ অভিজ্ঞ পিট হেগসেথকে প্রতিরক্ষা বিভাগের নেতৃত্বে বসান। হেগসেথ বারবার সামরিক বাহিনীতে ‘যোদ্ধা নীতি’ ফিরিয়ে আনার কথা বলেছেন এবং পূর্ববর্তী প্রশাসনের নীতি সমালোচনা করেছেন, যেগুলোকে তিনি ও ট্রাম্প ‘অতি উদারপন্থী’ বলে উপহাস করেন।

এ ছাড়া ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ এই সহযোগী সেনাবাহিনী থেকে ট্রান্সজেন্ডার সৈন্য বাদ দেওয়ার পক্ষে এবং বাইডেন প্রশাসনে নাম বদলানো কনফেডারেট ঘাঁটির পুরনো নাম পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নেন।

তবে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ স্থায়ী নয়। ভবিষ্যতের কোনো প্রেসিডেন্ট চাইলে তা বাতিল করতে পারবেন। তবে নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যুদ্ধ মন্ত্রীকে আইনগত ও প্রশাসনিক পদক্ষেপের সুপারিশ করতে হবে, যাতে দীর্ঘমেয়াদে দপ্তরের নাম স্থায়ীভাবে ‘যুদ্ধ দপ্তর’ করা যায়।

বাংলাধারা/এসআর