সন্ধ্যায় লাওসের মুখোমুখি বাংলাদেশ নারী দল
প্রকাশিত: আগস্ট ০৬, ২০২৫, ১২:০৫ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
বাংলাদেশ সময় আজ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বে স্বাগতিক লাওসের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই শক্তিশালী প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হচ্ছে আফিদা খন্দকারের নেতৃত্বাধীন দল।
বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে লাওস, দক্ষিণ কোরিয়া এবং পূর্ব তিমুর। র্যাঙ্কিং অনুযায়ী দক্ষিণ কোরিয়া (১৯) সবচেয়ে শক্তিশালী, লাওস রয়েছে ১০৭ নম্বরে আর বাংলাদেশের অবস্থান ১২৮। পূর্ব তিমুর তুলনামূলকভাবে দুর্বল হলেও র্যাঙ্কিংয়ের চেয়ে মাঠের লড়াই অনেক ভিন্ন, যা আগেও প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে মিয়ানমার ও বাহরাইনকে হারিয়ে র্যাঙ্কিংয়ের গণ্ডি পেরিয়ে যাওয়ার নজির গড়েছে আফিদারা।
ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে দলের আত্মবিশ্বাসের কথা জানিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক আফিদা বলেন,
"আমরা এখানে এসেছি এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিতে। প্রতিটি ম্যাচেই আমরা আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে চাই।"
বাংলাদেশ দলের ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলার জানালেন ক্লান্তি কাটিয়ে দলকে ফিট রাখতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা।
"টানা খেলার মধ্যে রয়েছে মেয়েরা। ক্লান্তি থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে কীভাবে খেলোয়াড়দের সতেজ রাখা যায়, সেই পরিকল্পনা করেছি। আশা করছি, মাঠে তার প্রতিফলন দেখা যাবে। আমরা অবশ্যই জয় চাই লাওসের বিপক্ষে," বলেন কোচ।
গত এক মাসেই টানা তিনটি বড় টুর্নামেন্টে খেলছে বাংলাদেশ নারী দল। মিয়ানমারে সিনিয়র দলের এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের পর, সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে সাফল্য এবং এরপরই এই এএফসি বাছাইপর্ব। সাফের চ্যাম্পিয়ন দল থেকে ৯ জন খেলোয়াড় রয়েছেন এই স্কোয়াডেও, যা ক্লান্তির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশ নারী দল বয়সভিত্তিক পর্যায়ে আগেও সফলতা দেখিয়েছে, অ-১৬ পর্যায়ে দুইবার খেলেছে চূড়ান্ত পর্বে। তবে অ-২০ পর্যায়ে এখনো সেই স্বপ্ন অধরাই। তাই এই বাছাইপর্বে ভালো করে মূল পর্বে জায়গা করে নেওয়াই প্রধান লক্ষ্য।
এই প্রসঙ্গে কোচ বাটলার বলেন, "সিনিয়র দলের এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করে আমরা একটি লক্ষ্য পূরণ করেছি। এখন অনূর্ধ্ব-২০ দলের উন্নয়ন ও প্রতিযোগিতায় নিজেদের অবস্থান যাচাইয়ের দারুণ সুযোগ এটি। তাই এই টুর্নামেন্ট আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
আজকের ম্যাচে জয় দিয়ে শুভ সূচনা করতে পারলে আগামী ম্যাচগুলোর পথ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে বাংলাদেশের জন্য।
বাংলাধারা/এসআর