ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

আচরণবিধি ও ভোটকেন্দ্র নীতিমালা চূড়ান্তে ইসির বৈঠক আজ 

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৫, ১০:২০ দুপুর  

ফাইল ছবি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণবিধি এবং ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনার নীতিমালা চূড়ান্ত করতে আজ বুধবার বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিতব্য এই সভায় নেতৃত্ব দেবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে শুরু হওয়া এই বৈঠককে কমিশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সভা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

ইসির সংস্থাপন শাখার উপ-সচিব মো. শাহ আলম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই সভার বিষয়বস্তু ও সূচি স্পষ্ট করা হয়েছে।

কমিশনের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সভায় মূলত চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব আলোচনা ও অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে:

  • রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ২০২৫
  • জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০২৫
  • স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০২৫
  • বিবিধ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়

ইসি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ সালের আচরণবিধিমালায় কয়েকটি নতুন শর্ত ও নির্দেশনা সংযোজনের কথা ভাবছে কমিশন। বিশেষ করে নির্বাচনী প্রচারণায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার, রাজনৈতিক সহিংসতা রোধ, নির্বাচনী ব্যানার-ফেস্টুন ব্যবহারের সীমা এবং ধর্মীয় বা জাতিগত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ঠেকাতে কড়া দিকনির্দেশনা যোগ করা হতে পারে।

এবারের নীতিমালায় ভোটকেন্দ্র স্থাপন সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের আরো বেশি ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হবে। বিশেষ করে দুর্গম অঞ্চল, পাহাড়ি এলাকা কিংবা নদীভাঙনপ্রবণ এলাকাগুলোতে দ্রুত ও বাস্তবভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুবিধার্থে এই পরিবর্তন আনার চিন্তাভাবনা রয়েছে।

কমিশন মনে করছে, অতীত অভিজ্ঞতা এবং বর্তমান বাস্তবতায় পরিবর্তিত নীতিমালাগুলো নির্বাচনী পরিবেশকে আরো স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক করতে সহায়ক হবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আচরণবিধি ও ভোটকেন্দ্র নীতিমালাকে সময়োপযোগী ও শক্তিশালী করে তোলা নির্বাচন পূর্ব প্রস্তুতির অন্যতম প্রধান ধাপ। রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ, আস্থা ও সমতাভিত্তিক পরিবেশ গড়তে এসব নীতিমালার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করাই হবে ইসির বড় চ্যালেঞ্জ।

আজকের বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলোর ওপর নির্ভর করছে আগামী নির্বাচনের কাঠামোগত ভিত্তি ও পরিচালনার রূপরেখা। ফলে সভাটি শুধু একটি নিয়মিত কমিশন সভা নয়, বরং তা হতে পারে নির্বাচনী প্রস্তুতির একটি নির্ধারক মোড়।

বাংলাধারা/এসআর