জাতিসংঘের নৈশভোজে প্রধান উপদেষ্টা: শ্রম সংস্কারে ঐকমত্য
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫, ১২:০৫ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের আয়োজনে এক উচ্চপর্যায়ের নৈশভোজে শ্রম আইন, শ্রমিক অধিকার এবং চলমান সংস্কার কর্মসূচি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ড. ইউনূস বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ ও দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে শ্রম সংস্কার এখন সময়ের দাবি। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগেই আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার রয়েছে বলে তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র নেতারা অংশ নিয়ে শ্রম সংস্কারকে সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয় বলে মত দেন। তারা খাতটির টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে সংস্কার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার প্রতি একমত হন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পোশাক শিল্পকে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, "ভবিষ্যতে যে-ই সরকার গঠন করুক, এ শিল্পের প্রবৃদ্ধি ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করাই হবে প্রধান দায়িত্ব।"
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, তাদের অনেক নেতাই সরাসরি পোশাক শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা এ খাতকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আরও সক্ষম করে তুলতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবীর বলেন, বর্তমান সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত করা প্রয়োজন।
এনসিপি-র জ্যেষ্ঠ নেতা ডা. তাসনিম জারা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা স্মরণ করে জানান, রানা প্লাজা ধসের সময় তিনি মেডিকেল শিক্ষার্থী ছিলেন এবং আহত শ্রমিকদের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। সেই অভিজ্ঞতাই তাকে শ্রমিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিয়ে রাজনৈতিকভাবে ভাবতে অনুপ্রাণিত করেছে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আইএলও মহাপরিচালকসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি অংশ নেন। তারা বলেন, কার্যকর শ্রম সংস্কার বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও শক্তিশালী করবে এবং অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎকে স্থিতিশীল করবে।
বাংলাধারা/এসআর