ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

নির্বাচনে এআইর অপব্যবহার ঠেকাতে কেন্দ্রীয় সেল গঠনের ঘোষণা সিইসির

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২৫, ০২:৪৬ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির অপব্যবহার এবং মিথ্যা তথ্য (ডিসইনফরমেশন) রোধে একটি কেন্দ্রীয় সেল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “নির্বাচনের সময়, বিশেষ করে ভোটের রাতে এআইর অপব্যবহার নিয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। এর বিরুদ্ধে দিন-রাত কাজ করতে হবে। কারণ এটি এখন বৈশ্বিক সমস্যা।”

সিইসি জানান, মিসইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশন নিয়ন্ত্রণে একটি কেন্দ্রীয় সেল গঠন করা হবে, যা নির্বাচনী সময়ে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য যাচাই ও প্রতিক্রিয়া জানাতে কাজ করবে। তবে সেলটি গঠনের আগে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, “নির্বাচনের সময় অনেক কিছু রাতারাতি ঘটে যেতে পারে। বিশেষ করে রাতের বেলায় ভুয়া তথ্য বা বিকৃত ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। তাই আমাদের সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ ও প্রতিক্রিয়াশীল থাকতে হবে।”

এ সময় সিইসি আরও বলেন, “কীভাবে দ্রুত মিথ্যা তথ্য শনাক্ত করা যাবে, কোন সংস্থাগুলো ফ্যাক্ট-চেকিংয়ে যুক্ত হতে পারে এবং কতজন জনবল লাগবে, এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করা দরকার।”

তিনি পাহাড়ি ও দুর্গম অঞ্চল থেকে ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাকেও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেন। “ধরুন, পার্বত্য অঞ্চল বা উপকূলীয় দ্বীপ থেকে কোনো অস্বাভাবিক খবর ছড়িয়ে পড়ল—আমাদের দ্রুত সেখানে পৌঁছাতে হবে এবং সঠিক তথ্য প্রচার করতে হবে। এজন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সেলের সরাসরি যোগাযোগব্যবস্থা রাখতে হবে,” বলেন সিইসি।

তিনি আরও জানান, সেল পরিচালনায় প্রতিটি শিফটে কতজন কর্মী থাকবে, তাদের যোগ্যতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা কেমন হবে, এসব বিষয়েও নির্দিষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করা হবে।

স্থানীয় পর্যায়ে সংযোগের গুরুত্ব তুলে ধরে সিইসি বলেন, “প্রত্যন্ত এলাকায় যারা আমাদের হয়ে কাজ করবে, তারা যেন দ্রুত ভুয়া তথ্য শনাক্ত করে জানাতে পারে, এমন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে।”

সিইসি আশা প্রকাশ করেন, এই কর্মশালার সুপারিশগুলো নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ ও প্রযুক্তিনির্ভর করবে এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে তথ্য বিভ্রান্তি থেকে সুরক্ষা দেবে।

আইডিইএ-২ প্রকল্প আয়োজিত এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের চার কমিশনার, ইসি সচিবসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তিবিদ ও গবেষকরা।

বাংলাধারা/এসআর