ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২

শেখ হাসিনা, আবদুল হামিদ ও ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭২ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৫, ০৪:৩০ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

বগুড়ায় ঘটনার দেড় বছরেরও বেশি সময় পর সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭২ জনের নামে হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে বগুড়া সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন বগুড়া শহরের নাটাইপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. আরাফ, যিনি স্থানীয় মিজানুর রহমানের ছেলে। মামলায় ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির।

মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু ও মজিবর রহমান মজনু, সাবেক নারী সংসদ সদস্য ডরোথী রহমান ও খাদিজা খাতুন শেফালি, চিকিৎসক নেতা ডা. সামির হোসেন মিশু ও ডা. শাফি মহায়মেন, বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফি নেওয়াজ খান রবিন, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন বাদশা, যুবলীগ নেতা শুভাশীষ পোদ্দার লিটন ও আমিনুল ইসলাম ডাবলু, কাউন্সিলর আব্দুল মতিন সরকারসহ আরও অনেকে।

এ ছাড়া মামলায় বেশ কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, চিকিৎসক ও ক্লিনিক মালিকের নামও রয়েছে। আসামিদের মধ্যে বগুড়া ছাড়াও রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, ধুনট, গাবতলী, সোনাতলা ও শাজাহানপুর এলাকার কয়েকজন রয়েছেন।

মামলার এজাহারে বাদী আরাফ অভিযোগ করেন, তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট বগুড়া শহরের দত্তবাড়ি-বড়গোলা সড়কে মিছিল নিয়ে পৌঁছান। সেখানে আগে থেকেই লাঠিসোঁটা, রড, হকিস্টিক, ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র হাতে আসামিরা অপেক্ষা করছিলেন। তারা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। এতে আরাফসহ বহুজন গুরুতর আহত হন।

আরাফ দাবি করেন, হামলার সময় তার শরীরে ৪৩টি গুলি লাগে। পরে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে বনানী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভর্তি করা হয়নি। এরপর শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেও চিকিৎসা দিতে অপারগতা জানানো হয়। বাধ্য হয়ে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন তিনি। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।

বগুড়া সদর থানার ওসি হাসান বাসির বলেন, “মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বাংলাধারা/এসআর