ঢাকা, শুক্রবার, ০১ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

একাত্তরের বেদনা এখনো তাড়া করে বললেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জারদারি

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: জুন ০১, ২০২৫, ০৪:৪৮ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি বলেছেন, একাত্তরের বেদনা এখনো তার হৃদয়ে রয়ে গেছে। তিনি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ক আরও গভীর ও উষ্ণ করতে চান।

রোববার (১ জুন) লাহোরের পাঞ্জাব গভর্নর হাউসে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সম্মানে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রেসিডেন্ট জারদারি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাঞ্জাবের গভর্নর সরদার সালিম হায়দার, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভি এবং উভয় দেশের ক্রিকেটার ও কর্মকর্তারা।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দুই দেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রেসিডেন্ট জারদারি। চলমান বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নেওয়ায় বাংলাদেশ দলকে স্বাগত জানান তিনি।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ক্রিকেট দল শুধু খেলার জন্য নয়, আমাদের দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার দূত হিসেবেও পাকিস্তানে এসেছে। তারা যেভাবে খেলছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।”

আসিফ আলী জারদারি স্মরণ করেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, “আমি সেই সময়ের প্রত্যক্ষদর্শী প্রজন্মের একজন। আজকের প্রজন্ম হয়তো সেই গভীর ব্যথা অনুভব করতে পারবে না। আমাদের সেই ক্ষত সারিয়ে তুলতে হবে সম্মিলিতভাবে।”

বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির প্রশংসা করে তিনি বলেন, “এক সময় বাঙালিরা ছিলেন এই অঞ্চলের অন্যতম ধনী ও প্রগতিশীল জনগোষ্ঠী। তারা আজও নিজেদের কর্মে প্রমাণ করে যাচ্ছে। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সফল রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে।”

প্রেসিডেন্ট জারদারি আরও বলেন, “আল্লাহ তাআলা বাংলাদেশকেও পাকিস্তানের মতোই প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ করেছেন। আমাদের উভয় দেশের উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করা জরুরি। জনকল্যাণে যৌথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।”

তিনি বলেন, দুই দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সম্পর্ক বাড়ানোর এখনই উপযুক্ত সময়। খেলাধুলা এমন এক শক্তি যা মানুষকে কাছাকাছি আনে, সৌহার্দ্য গড়ে তোলে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, খেলাধুলার মাধ্যমে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।

এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান নতুনভাবে এক ইতিবাচক বার্তা দিল- স্মৃতির ভার পেরিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশ আবারও বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার পথ খুঁজছে।

 

বাংলাধারা/এসআর