ঢাকা, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২

শান্তির অলিম্পিক গোল, তৃষ্ণার হ্যাটট্রিকে গোলবন্যায় বাংলাদেশ

স্পোর্টস্ ডেস্ক

 প্রকাশিত: আগস্ট ০৮, ২০২৫, ০৯:০৫ রাত  

ছবি: সংগৃহিত

এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে লাওসকে ৩-১ গোলে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে পূর্ব তিমুরের বিপক্ষে ৮-০ গোলের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে লাল-সবুজের মেয়েরা। গোলবন্যার এই ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন তৃষ্ণা, শান্তি, সাগরিকা, নবিরুন, শিখা ও মুনকি।

ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য ছিল বাংলাদেশের। তবে প্রথম গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় প্রথমার্ধের যোগ করা সময় পর্যন্ত। তখনই গোলের সূচনা করেন তৃষ্ণা খাতুন। দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুই গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি। তৃষ্ণার শেষ গোলটি ছিল সাগরিকার তৈরি, ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে কাটিয়ে তিনি বল এগিয়ে দেন, আর ফাঁকা পোস্টে প্লেসিংয়ে গোল করেন তৃষ্ণা।

এদিন একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত একটি গোল করেন সাগরিকা। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। প্রথম ম্যাচেও লাওসের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন এই ফরোয়ার্ড। আজও রেখে গেলেন তাঁর ছাপ।

তবে ম্যাচের সবচেয়ে চোখধাঁধানো মুহূর্ত ছিল শান্তি মারডির ‘অলিম্পিক গোল’। ডান দিক থেকে নেওয়া তার কর্নার কিক কোনো সতীর্থ বা প্রতিপক্ষের ছোঁয়া ছাড়াই সরাসরি জালে প্রবেশ করে। এমন গোল সচরাচর দেখা যায় না। এই অনন্য গোলেই ফের আলোচনায় এলেন শান্তি।

শুধু অলিম্পিক গোল নয়, কর্নার থেকে আরও দুটি গোল আদায় করেছে বাংলাদেশ। বাঁ দিক থেকে স্বপ্নার কর্নারে হেডে গোল করেন শিখা, অন্যদিকে শান্তির কর্নার থেকে হেড করেন নবিরুন। কর্নার কিক থেকে তিনটি এবং ফিল্ড প্লে থেকে পাঁচটি গোল করে দলের পরিকল্পনার পরিণত রূপ দেখিয়েছে আফিদার দল।

শেষ মুহূর্তে মুনকি আক্তারের করা গোলের মধ্য দিয়ে ম্যাচ শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ে সেই গোলই ছিল বাংলাদেশের অষ্টম ও শেষ গোল।

এই জয়ের ফলে দুই ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। গোল ব্যবধান এখন +১০। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে, একটি শক্ত প্রতিপক্ষ। ম্যাচটি কঠিন হলেও, লক্ষ্য থাকবে গোল ব্যবধান ধরে রেখে রানার্সআপ হয়ে সেরা তিন রানার্স-আপের তালিকায় জায়গা করে নেওয়া। তাহলেই মিলবে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বে খেলার সুযোগ।

এই জয় শুধু বড় ব্যবধানের নয়, এটি ছিল পরিকল্পনা, একাগ্রতা ও প্রতিভার সম্মিলিত এক উপস্থাপন। এখন অপেক্ষা চূড়ান্ত পরীক্ষার, দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে নিজেদের সেরা ছন্দে থাকার।

বাংলাধারা/এসআর