টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিক বাংলাদেশ, ওয়ানডেতে এখনও সমাধান বাকি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৫, ০৯:৩৩ রাত

ছবি: সংগৃহিত
এক সময় ওয়ানডে ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সবচেয়ে শক্তিশালী ফরম্যাট। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে এই সংস্করণে ছিল আত্মবিশ্বাসের জায়গা। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাটিং ব্যর্থতা ও স্থিতিশীলতার অভাবে ওয়ানডেতে সেই আস্থা হারিয়েছে টাইগাররা। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতেও অবস্থান উন্নতির পথে থাকলেও র্যাঙ্কিংয়ে দুই সীমিত ওভারের ফরম্যাটেই বাংলাদেশ এখন ১০ নম্বরে। তবে দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন মনে করছেন, টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ এখন প্রায় ধারাবাহিক, কিন্তু ওয়ানডেতে এখনও কিছু হিসাব বাকি।
ক্রিকবাজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বিশেষ করে দুই তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমনের আগ্রাসী মানসিকতা দলকে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে। “অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায় থেকে ইমন ও তামিম একসঙ্গে খেলছে। তারা বিশ্বকাপ জিতেছে, ফলে ভয়হীন ক্রিকেট খেলতে পারে। অনূর্ধ্ব-১৯ স্তরে যেসব সাহসী শট খেলতে হয়, সেটা তাদের মধ্যে রয়েছে।”
দল থেকে একে একে সরে গেছেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন, মুশফিকুর রহিম এখন শুধু টেস্টে উপলব্ধ, আর সাকিব আল হাসানের ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত। সালাউদ্দিন মনে করেন, এ অবস্থায় শুরুটা ভালো করার জন্য একটি শক্ত ওপেনিং জুটি গড়ে তোলা জরুরি। “টেস্টে অনেকদিন পর সাদমান ইসলাম ভালো ফর্মে আছে। আমরা আরও একজন ওপেনার খুঁজছি। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে আমরা পাঁচ-ছয়জন ব্যাটার নিয়ে খেলি, কিন্তু লোয়ার-অর্ডারে পারফরম্যান্স ভালো নয়। তাই সবকিছু একসঙ্গে বদল না করে ধীরে ধীরে ছোট পরিবর্তন আনা দরকার।”
সিনিয়র সহকারী কোচের মতে, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে এখন অনেকটাই স্থিতিশীল বাংলাদেশ দল। খেলোয়াড়দের ভূমিকা পরিষ্কার, পরিবর্তনও খুব কম হয়। কিন্তু ওয়ানডেতে অভিজ্ঞদের অনুপস্থিতিতে মিডল-অর্ডারে নতুন সেটআপ এখনও পুরোপুরি মানিয়ে নিতে পারেনি। “চার, পাঁচ, ছয় নম্বর পজিশন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখানে স্ট্রাইক ঘোরানো এবং ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলা জরুরি। আগে এখানে স্থিতিশীলতা ছিল, এখন সেটা হঠাৎ হারিয়ে গেছে। নতুনদের মানিয়ে নিতে সময় লাগবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “ওয়ানডেতে পরিস্থিতি পড়া খুব জরুরি। উইকেট পড়লে বা না পড়লে ভিন্নভাবে খেলতে হয়, ১০ ওভারের পর এক রকম, ৩০ ওভারের পর আরেক রকম। একবার এটা আয়ত্তে এলে উন্নতি আসবে।”
এদিকে, মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বর্তমানে ফিটনেস ক্যাম্পে অনুশীলন করছে বাংলাদেশ দল। এরপর শুরু হবে স্কিল ডেভলপমেন্ট ক্যাম্প। দ্বিতীয় ধাপে সিলেটে অনুশীলনের পর ৩০ আগস্ট থেকে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে টাইগাররা, যা হবে এশিয়া কাপের প্রস্তুতি সিরিজ।
বাংলাধারা/এসআর