হংকংয়ের বিপক্ষে আজ নতুন শুরু বাংলাদেশের
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫, ০১:৩৯ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
এশিয়া কাপে হংকংয়ের বিপক্ষে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে রাত সাড়ে ৮টায়। এই ম্যাচ দিয়েই এবারের টুর্নামেন্টে যাত্রা শুরু করবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
কাগজে-কলমে হংকংয়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ। তবে টি-টোয়েন্টির অপ্রত্যাশিত ফরম্যাটে প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যদিও আফগানিস্তানের কাছে আগের ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরেছে হংকং, তবুও সাম্প্রতিক সময়ে কাতার, ওমান ও মালয়েশিয়ার বিপক্ষে নিয়মিত খেলে তারা আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছে। তাই শুরু থেকেই সতর্ক থাকতে চাইবে বাংলাদেশ।
গ্রুপ ‘বি’-তে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। সুপার ফোরে জায়গা পেতে হলে হংকংয়ের বিপক্ষে বড় জয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আফগানরা যেখানে ৯৪ রানে জিতেছে, সেখানে লিটন দাসদেরও রানরেট মাথায় রেখে খেলতে হবে।
বাংলাদেশ দলে আজ তিন পেসার ও দুই স্পিনারের সমন্বয় দেখা যেতে পারে। নতুন বলে নেতৃত্ব দেবেন তাসকিন আহমেদ, সঙ্গে মুস্তাফিজুর রহমান ও তরুণ তানজিম হাসান সাকিব। অলরাউন্ডার হিসেবে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় শরিফুল ইসলামের পরিবর্তে দলে রাখা হচ্ছে সাকিবকে। স্পিন বিভাগে আছেন রিশাদ হোসেন ও শেখ মেহেদী।
ব্যাটিংয়ে ওপেন করবেন তানজিদ হাসান ও পারভেজ ইমন। এরপর তিনে অধিনায়ক লিটন দাস। চার নম্বর জায়গায় দেখা যেতে পারে তাওহিদ হৃদয় অথবা সাইফ হাসানকে। মধ্যক্রমে থাকবেন শামীম হোসেন ও জাকের আলী। ওপেনিং নিয়ে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি কাটিয়ে তানজিদ-ইমন জুটি আশার আলো দেখাচ্ছে। তাদের হাত ধরেই পাওয়ারপ্লেতে আক্রমণাত্মক শুরু আশা করছে দল।
বোলিং বিভাগও বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় ভরসা। তাসকিনের আগ্রাসী সূচনা, মুস্তাফিজের ডেথ ওভারের অভিজ্ঞতা আর স্পিনে রিশাদ-মেহেদীর বৈচিত্র্য দলকে বাড়তি শক্তি দিচ্ছে।
ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লিটন দাস বলেন, “প্রথম লক্ষ্য জয় নিশ্চিত করা। নেট রানরেট মাথায় থাকলেও সেটি নির্ভর করবে ম্যাচ পরিস্থিতির ওপর। প্রতিপক্ষ ভালো খেললে বড় ব্যবধানে জয় পাওয়া কঠিন হবে। তাই আমরা শতভাগ দিয়ে ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব।”
সম্ভাব্য বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন দাস (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, জাকের আলী, মেহেদী হাসান, তানজিম হাসান সাকিব, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাধারা/এসআর