জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে ১২ দফায় ঐকমত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, চলতি মাসের মধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ১২টি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের দ্বিতীয় দফার ২১তম দিনের বৈঠকের আগে তিনি বলেন, “খসড়া প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আজ কিংবা আগামীকাল প্রাথমিক পর্যায়ের ঐকমত্যের খসড়া দলগুলোর হাতে পৌঁছে যাবে। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এসব বিষয়ে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হবে।”

একমত হওয়া দফাগুলো
১. সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে ‘নোট অব ডিসেন্ট’।
২. সংসদের স্থায়ী কমিটির সভাপতিত্বের প্রক্রিয়া।
৩. নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ।
৪. রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদানের বিধান।
৫. বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ।
৬. জরুরি অবস্থা ঘোষণার কাঠামো।
৭. প্রধান বিচারপতির নিয়োগে ‘নোট অব ডিসেন্ট’।
৮. সংবিধান সংশোধনের কাঠামো।
৯. প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকা সংক্রান্ত বিধান (নোট)।
১০. নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়া।
১১. প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এক ব্যক্তির মেয়াদকাল।
১২. পুলিশ কমিশন গঠন।

এদিন সকালে বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিয়োগ ও কাঠামো এবং নারী প্রতিনিধিত্ব প্রসঙ্গ উঠে আসে। পাশাপাশি অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হয়।

রাষ্ট্রকাঠামোর ২০টি মৌলিক সংস্কারের মধ্যে ১২টিতে নোট অব ডিসেন্টসহ রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছেছে। বাকি কিছু বিষয়ে আংশিক সমঝোতা হয়েছে। খসড়ার ওপর মতামত আগামীকাল দুপুরের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে।

বৈঠকে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশ নেন।

এ ছাড়া কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বাংলাধারা/এসআর