চামড়াশিল্পের সঠিক মূল্যায়ন হয়নি : প্রধান উপদেষ্টা
প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৫, ০৬:৫৭ বিকাল

ছবি: সংগৃহিত
বাংলাদেশের চামড়াশিল্প অবহেলার শিকার হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, "দেশের চামড়াশিল্পের বিষয়ে আমরা একটি বড় ধরনের ভুল করেছি। এ শিল্পের যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি। অথচ এটিকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিকভাবে দেশ অনেক বেশি লাভবান হতে পারত।"
বুধবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত ‘স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি’ বিষয়ক এক উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সভায় চামড়াশিল্পের সংকট নিরসনে করণীয় নির্ধারণে একটি আলাদা বৈঠক আয়োজনের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রেস উইংয়ের দেওয়া তথ্যমতে, প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে গৃহীত ১৬টি সিদ্ধান্তের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৪টি, শিল্প মন্ত্রণালয় ৩টি, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ২টি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৩টি এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ৪টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ করছে।
সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান জানান, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (NSW) বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলেছে। এ পর্যন্ত ১৯টি সংস্থা এতে যুক্ত হয়েছে। পাশাপাশি ২০২৩ সালের ট্যারিফ পলিসি বাস্তবায়ন পরিকল্পনার অগ্রগতিও তুলে ধরা হয়।
সভায় তৈরি পোশাক খাতের মতো অন্যান্য সম্ভাবনাময় রপ্তানি খাতকে সহায়তা এবং ম্যান-মেইড ফাইবারভিত্তিক কাঁচামাল ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলোচনা হয়।
এছাড়া, সাভারের ট্যানারি ভিলেজে ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) পূর্ণভাবে চালু করা, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বাস্তবায়নাধীন এপিআই পার্কের অগ্রগতি এবং ২০২২ সালের শিল্প নীতিমালার হালনাগাদ সংক্রান্ত বিষয়গুলো সভায় স্থান পায়।
সভা শেষে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থেই এসব কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। যেসব আইন-নীতি কার্যকর নয়, সেগুলো সংশোধন করে এগিয়ে যেতে হবে। এগুলোই আমাদের উত্তরণের মৌলিক চাবিকাঠি।”
সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ, মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরসহ বিভিন্ন দপ্তরের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা আগামী দুই মাসের মধ্যে এলডিসি উত্তরণে করণীয় নির্ধারণে পরবর্তী সভার আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলাধারা/এসআর