ঢাকা, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২

চবি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা, ১৪৪ ধারা জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২৫, ০৪:০৪ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশে আগামীকাল (সোমবার) রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের জারি করা প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট বাজারের পূর্ব দিক থেকে রেলগেট পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে ১৪৪ ধারা বলবত থাকবে। এ সময় ওই এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ, মিছিল, গণজমায়েত, বিস্ফোরক দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির একসঙ্গে অবস্থান কিংবা চলাফেরাও পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার (৩০ আগস্ট) গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় শাহাবুদ্দীন ভবন নামে একটি বাসায় দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী দারোয়ানের হাতে মারধরের শিকার হন। এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। রাতেই হলগুলো থেকে শিক্ষার্থীরা দলে দলে বের হয়ে ২ নম্বর গেট এলাকায় জড়ো হন।

রোববার সকাল থেকে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন এবং হামলাকারীর শাস্তি দাবি করেন। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজনও লাঠিসোঁটা নিয়ে উপস্থিত হলে আবারো সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ সময় পরিস্থিতি শান্ত করতে এগিয়ে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন। তবে স্থানীয়দের ধাওয়া খেয়ে তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েন।

ঘটনার সূত্রপাত প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, শনিবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে বাসায় ফিরলে দারোয়ান তাকে প্রবেশ করতে দেননি। যদিও নিয়ম অনুযায়ী রাত ১২টা পর্যন্ত বাসায় প্রবেশের অনুমতি থাকে। অনেকক্ষণ ডাকার পরও গেট না খোলায় তার সহপাঠীরা এগিয়ে এলে দারোয়ান জোর করে দরজা খুলে দেন। এ সময় বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তিনি শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলেন এবং ঘাড়ে আঘাত করেন।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাধারা/এসআর